ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নোঙর করা লঞ্চের সিড়ি থেকে পড়ে আল ইসলাম (৩০) নামের এক জার্মান শিক্ষার্থী মেঘনা নদীতে পড়ে তলিয়ে যায়। ডুবুরীদের আধা ঘন্টার চেষ্টায় লঞ্চের নিচ থেকে তাকে উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
সোমবার রাত আটটার দিকে ভৈরব বাজার লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে। সে শহরের চন্ডিবের গ্রামের হাজী আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, বাবা মাকে সারপ্রাইজ দিতে চলতি মাসের আট তারিখে জার্মান থেকে দেশে চলে আসে আল ইসলাম। সোমবার বিকালে শশুর বাড়ী থেকে বাসায় আসে। সন্ধায় বন্ধুদের ফোন পেয়ে ভৈরব লঞ্চ ঘাটে যায় আড্ডা দিতে। লঞ্চের সিড়ি বেয়ে উঠার সময় তিন বন্ধু উঠে গেলেত্ত আল ইসলামের পা ফসকে সাথে সাথে নদীতে তলিয়ে যায়। সাতার না জানায় সে আর উঠতে পারেনি। খুজাখুজি করে না পেয়ে স্থানীয় ডুবুরিদের খবর দেয়। পরে ডুবুরিরা এসে প্রায় আধা ঘন্টা খোঁজাখোঁজির পর লঞ্চের নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। ভৈরব নৌ-থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌছে লাশের সুরৎহাল তৈরি করে। নিহতের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
নিহতের স্বজনেরা জানান, আল ইসলাম দেড় বছর আগে স্কলারশিপ নিয়ে জার্মানিতে পড়াশোনা করতে যান। গত ৮ এপ্রিল জার্মানি থেকে তিনি ছুটিতে পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদ করতে দেশে আসেন। সোমবার সন্ধায় বন্ধুদের ফোন পেয়ে বাড়ির বাহিরে যায়। পরে জানতে পারি আল ইসলাম লঞ্চের সিড়ি থেকে পা পিছলিয়ে পানিতে ডুবে মারা গেছে।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ফারিয়া নাজমুন প্রভা বলেন, রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার সময় আল ইসলাম নামে একজনকে আমাদের এখানে নিয়ে আসে। আমরা তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখতে পাই তিনি অনেক আগেই মারা গিয়েছেন।
ভৈরব নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান মনির বলেন, খবর পেয়ে তাঁরা ডুবুরিদের সহযোগিতা করে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে আল ইসলামকে উদ্ধার করে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply