শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪৭ অপরাহ্ন

ভৈরবে হার পাওয়ার প্রকল্পের আওতায় ৮০ নারী পেল ল্যাপটপ

ইমন মাহমুদ লিটন 
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০২৪
  • ২৩৫ Time View

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: “প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন” এই স্লোগানকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে হার পাওয়ার প্রকল্পের আওতায় ৮০ জন নারীকে বিনামূল্যে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে উপজেলা পরিষদ বঙ্গবন্ধু হল রুমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.কে.এম গোলাম মোর্শেদ খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভৈরব পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব ইফতেখার হোসেন বেনু, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ারা বেগম।

প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার রিয়াজুল ইসলাম টিটু’র সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন, হার পাওয়ার প্রকল্পের সহকারি প্রোগ্রামার মো. রফিকুল ইসলাম, জাহিদ হোসেন ও তন্ময় সিকদার প্রমুখ। 

বিভিন্ন ইভেন্টের ট্রেনারদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যাচের প্রশিক্ষনার্থী রোকসানা আক্তার ইমি, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ব্যাচের তাসলিমা আক্তার, গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যাচের মোছাম্মদ সাজিদা আক্তার ও জান্নাতুল ফেরদৌস প্রীতি।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মাননীয় মন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের তথ্য প্রযুক্তির সর্বোত্তম নিরাপদ ব্যবহার করে দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও উদ্যোক্তা হিসাবে তাদের টেকসই ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা লক্ষ্যে ভৈরবে ৮০ জন নারীকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। প্রথম ধাপে ৮০ জনকে ৮০টি ল্যাপটপ দেয়া হচ্ছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে আরো ১৬০ জনকে ট্রিনিংয়ের মাধ্যমে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। 

ছয় মাসের প্রশিক্ষণে সাড়ে ৪ মাস ট্রেনিং শেষে আজ ৮০ জন নারীকে এই ল্যাপটপ দেয়া হবে। তারা যেন বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করতে ও শিখতে পারে তাই এই ল্যাপটপ দেয়া হবে। 

এ সময় বক্তারা আরো বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নারীর দক্ষতা অর্জিত হবে, নতুন কর্মসংস্থান এর সৃষ্টি হবে অর্থাৎ অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাবে।

উপজেলা পর্যায়ে আইসিটি সংশিষ্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণের উদ্যোগের মাধ্যমে প্রযুক্তি খাতে দক্ষ নারী কর্মী ও নারী উদ্যোক্তা তৈরি হবে। এতে নারীর ক্ষমতায়ন হবে এবং প্রযুক্তি খাতে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রযুক্তি জগতেরও উন্নয়ন ঘটবে। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ের নারীদের প্রশিক্ষণের ফলে সামাজিক সচেতনতা বাড়বে ও আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটবে। উপজেলায় বসবাসকারী প্রান্তিক ও অপেক্ষাকৃত কম সুবিধাভোগী নারীর কর্মসংস্থানের দ্বারা নারীর টেকসই ক্ষমতায়নের (হার পাওয়ার) একটি ধারাবাহিকতা সৃষ্টি হবে।

প্রশিক্ষণের শেষে নারীদের জন্য একটি প্যাটফর্ম তৈরির মাধ্যমে সকল নারীদের একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকা, অভিজ্ঞতা বিনিময়, আইটি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে পরামর্শ গ্রহণ, নেটওয়ার্কিং, নতুন কাজের সুযোগ ইত্যাদি নিশ্চিত করা হবে। সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সাথে পার্টনারশীপ এর ফলে উপজেলা পর্যায়ের নারীদের প্রশিক্ষণ পরবর্তী কর্মসংস্থান এবং পরামর্শদানের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হবে। এ ধরনের সংস্থা নারীদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সংযোগ বাড়াতে ও কাজের সুযোগ করে দিতে যোগাযোগের ব্যবস্থা করবে।

এসময় নারী ট্রেইনারা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখেছেন। আমরা সেই স্বপ্নের অংশ হতে পেরেছি। আমাদের স্বপ্ন অনেক বড়। আমরা আজ ডিজিটাল বাংলাদেশের অংশ হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ হতে চাই। আমরা আজ ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে বিদেশ থেকে ডলার আয় করতে পারছি। আমরা এত বড় প্রকল্পের অংশ হতে পেরেছি। আমরা গর্বিত।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS