প্রায় দিনই দেখা যায় পানিতে ডুবে মৃত্যুর খবর। খুবই মর্মান্তিক বিষয় এটি। তাই পানিতে ডোবা প্রতিরোধে সাঁতার শিখুন। এছাড়া নদীপথে যাত্রার সময় লাইফ জ্যাকেট পরিধান করুন।
তবে মনে রাখবেন আপনি যদি কিছু নির্দেশনা মেনে চলেন তবে পানিতে ডুবে মৃত্যু অনেকটাই রোধ করতে পারবেন। তাই চলুন জেনে নেই পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধের কিছু উপায়-
সাঁতার শিখুন–
সাঁতার কাটা মজাদার। তবে আরও গুরুত্বপূর্ণ, এটি একটি জীবন রক্ষাকারী দক্ষতা। আপনি সাঁতার জানলে অনেক ক্ষেত্রে পানিতে ডুবে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন। এছাড়া অন্যকে বাঁচানোর জন্যও প্রয়োজন পড়তে পারে এই দক্ষতার।
পানির ঝুঁকি বুঝুন–
পানিতে নামার আগে অবশ্যই ঝুঁকি জেনে নিন। এতে করে আপনার পানিতে ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা কমবে।
আবহাওয়া ও পানির অবস্থা বিষয়ে অবগত থাকা–
পানিতে নামার আগে সেখানকার তাপমাত্রা ও আবহাওয়ার অবস্থা পরীক্ষা করার জন্য কিছুক্ষণ সময় নিন। পানিপথে যাত্রা অথবা উপকূল অঞ্চলে ভ্রমণের জন্য বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময়েই আবহাওয়ার ব্যাপারে জেনে নেয়া উচিত। হালকা বৃষ্টি অথবা বৃষ্টিহীন বজ্রপাতেও পানিতে থাকবেন না। বর্ষাকালের মতো আবহাওয়ার অপ্রত্যাশিত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে দ্রুত সাঁতার কেটে তীরে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন।
লাইফ জ্যাকেট–
ছোট বাচ্চা ও অনভিজ্ঞ সাঁতারুদের জন্য পানিতে নামার সময় অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট পরিধান করা উচিত। এতে করে পানিতে ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে।
যে কোনো জরুরি অবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকা–
পানিতে নামার আগে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা করুন। আপনি যে পানিতে নামতে যাচ্ছেন, সে ব্যাপারে বন্ধু অথবা স্থানীয় দায়িত্বরত কাউকে জানিয়ে রাখুন।
স্রোত কতটা প্রবল তা বোঝা–
অশান্ত পানির প্রবলতর হওয়ার মাত্রা বুঝতে পারা অভিজ্ঞ সাঁতারুর একটি দক্ষতা। পানির এমন অবস্থায় সৃষ্ট তরঙ্গ সাঁতারের পথ থেকে সাঁতারুকে সরিয়ে দিতে পারে।
জোয়ার-ভাটা–
পানিতে নামার আগে অবশ্যই জোয়ার-ভাটার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। এটি আপনাকে দূরে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে কি না সে ব্যাপারে জানতে সাহায্য করবে। জোয়ার-ভাটায় পড়ে গেলে শান্ত থাকুন এবং এর টান এড়াতে তীরের সমান্তরালে সাঁতার কাটুন। স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কাটা ক্লান্তি ও আতঙ্কের কারণ হতে পারে।
জীবন রক্ষার উপায়গুলো রপ্ত করা–
সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের পরেও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই আগে থেকেই জীবন রক্ষাকারী পদ্ধতিগুলো শিখে রাখুন। প্রয়োজনে পানি-সম্পর্কিত দুর্ঘটনায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেখার কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। বিশেষ করে ফুসফুস থেকে পানি বের করার পদ্ধতি, চিকিৎসা শাস্ত্রে যাকে সিপিআর (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন) বলা হয়- তা শিখে নেয়া জরুরি। এর সঙ্গে যে কোনো ছোট আঘাতের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসা করাটাও অন্তর্ভুক্ত রাখুন।
উদ্ধার কাজে সতর্ক থাকা–
পানিতে কাউকে ডুবে যেতে দেখলে একটি বস্তু শনাক্ত করুন, যেটি পানিতে ভালভাবে ভেসে থাকতে পারে। অতঃপর সেটিকে একটি দড়িতে শক্ত করে বাঁধুন। এবার দড়ির একপ্রান্ত হাতে শক্ত করে ধরে বস্তুটিকে ডুবন্তপ্রায় ব্যক্তির কাছে নিক্ষেপ করুন। এবার তাকে বস্তুটি শক্ত করে আঁকড়ে ধরতে বলুন। তিনি তা আঁকড়ে ধরলে দড়ি টেনে তাকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসুন।
স্থানীয় পানির নিরাপত্তা নিয়মগুলো মেনে চলা–
সুইমিং পুল ও সৈকতে প্রদর্শিত জল সুরক্ষা নিয়মগুলো সম্পর্কে অবগত হয়ে তা সঠিক ভাবে মেনে চলা উচিত। কোনো নির্দেশিকা না থাকলেও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এমন বিপদের ব্যাপারে জেনে নিন।
-হেলথ মেটারস
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply