বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০৩ পূর্বাহ্ন

হবিগঞ্জে প্রেমিক-প্রেমিকার গোপন বিয়ে. অতপর প্রেমিকের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা দায়ের

লিটন পাঠান
  • আপডেট : শনিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৫
লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে প্রেমিক-প্রেমিকা গোপনে বিয়ে করে কিছুদিন যেতে না যেতেই প্রেমিকের বিরুদ্ধে সারী ও শিশু দমন আইনে মামলা করেছেন প্রেমিকা। প্রেমিকের নাম হাবিবুর রহমান। তিনি নবীগঞ্জ পৌর এলাকার কেলী কানাইপুর গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে। প্রেমিকা ও মামলার বাদীর নাম শাহিনা আক্তার (১৮)। তিনি একই গ্রামের ছয়ফুল আলমের মেয়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাহিনা আক্তার (১৮) এর সাথে একই গ্রামের হাবিবুর রহমানের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে শাহিনা আক্তারের পরিবারের কু-পরামর্শে এবং তিমিরপুর গ্রামের জীবন মিয়ার সহযোগিতায় প্রায় ৫/৬ মাস পূর্বে হবিগঞ্জে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে হাবিবুর রহমান ও শাহিনা আক্তারের এফিডেভিট করে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের এফিডেভিটের কাজ সম্পন্ন করেই তারা স্ব স্ব বাড়িতে চলে যান কনে শাহিনা ও বর হাবিবুর। কথা ছিল উভয়ের পরিবারের সম্মতি আদায় করে তাদের দাম্পত্য জীবন শুরু করবে। কিন্তু তার আগেই শাহিনা আক্তার পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে বলে হাবিবুর রহমান অভিযোগ করেন। এতে স্বামী হাবিবুর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। বার বার বাধাঁ দিলেও শাহিনা তার বাধাঁ আপত্তি শুনতে নারাজ এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
প্রেমিকা স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় হাবিবুর এ নিয়ে প্রায় ২০/২৫ দিন পূর্বে এলাকায় একটি শালিস বিচার অনুষ্টিত হয়। উক্ত শালিসে লুৎফুর রহমান, গোলাম হোসেন, কবির মিয়া, সাইদুরসহ এলাকার গণ্যমান্য মুরুব্বীয়ান উপস্থিত ছিলেন। এ সময় শাহিনা আক্তার হাবিবুর রহমানের সাথে তার বিবাহের এফিডেভিটের কপি উপস্থাপন করে পরকীয়ার কথা অস্বীকার করে। কিন্তু হাবিবুর রহমান জানান, কোর্ট ম্যারেজ এর পর থেকে তাদের মধ্যে দেখা স্বাক্ষাত হয়নি। তিনি যখনই শাহিনাকে ফোন দেন তখনই ফোনটি ব্যস্ত পান। সে জন্য তিনি শাহিনার সাথে সর্ম্পক রাখতে নারাজ। এতে শাহিনা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর শাহিনা আক্তার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে ধর্ষনের অভিযোগে হাবিবুর রহমান ও তার পিতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দেয়ার জন্য জেলা গোয়েন্দা শাখা, হবিগঞ্জকে নির্দেশ দিয়েছেন। উক্ত মামলায় শাহিনা আক্তারের বয়স ১৬ দেখালেও বিবাহ এফিডেভিটে ১৮ বছর বয়স উল্লেখ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শালিস বিচারক লুৎফুর রহমান মেম্বার বলেন, তারা নোটারীর মাধ্যমে বিবাহ করেছে। ঘর সংসার হয়নি। মেয়ে পরকীয়ায় আশক্ত হওয়ায় স্বামী হাবিবুর সংসার করতে অনীহা জানায়। আমরা তাদের ৭ দিনের সময় দেই যেন তারা আরো ভাল করে চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এখন শুনলাম ধর্ষনের মামলা হয়েছে। স্বামী-শশুড়ের উপর ধর্ষণ মামলাটি হাস্যকর ছাড়া কিছু নয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS