ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মো. লিটন মিয়ার বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদ ভবণের স্থানদাতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের নাম ফলক ভেঙে ফেলার অভিযোগ ওঠেছে।
ফলে এলাকায় চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। আজ বুধবার বিকেলে উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়ন পরিষদে এই ঘটনা ঘটেছে। ফলে এ নিয়ে ক্ষোভে ফুসে ওঠেছে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফারুক মিয়ার লোকজন। বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানের এমন কান্ডে হতবাক সচেতন ও সুশীল সমাজের লোকজন। যদিও ইউপি চেয়ারম্যান মো. লিটন মিয়ার দাবী, নেতিবাচক কোন মনোভাব নিয়ে এমনটি করা হয়নি। আসলে ভবণের উন্নয়ন কাজ করতে গিয়ে রাজমিস্ত্রীদের ভুলে এমনটি হয়েছে।
জানাগেছে, ২০১৮ সালে ৩ শতাংশ ভূমির উপর কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়ন পরিষদের ৩ তলা বিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবণ নির্মাণ করেন তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফারুক মিয়া। ভবণ নির্মাণের সময় ইউনিয়ন পরিষদে জনগনের সেবার মান বাড়াতে মো. ফারুক মিয়া ব্যক্তিগত ভাবে প্রায় দশ লক্ষ টাকা দিয়ে দেড় শতাংশ ভূমি ক্রয় করে দান করে দেন। এছাড়াও মহি উদ্দিন নামে আরেক ব্যক্তি দেড় শতাংশ ভূমি দান করেন। ফলে সুশীল সমাজের সিদ্ধান্তে স্থানদাতা হিসেবে মহি উদ্দিন ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফারুক মিয়ার নামে ভবণটির গেইটের সামনে পাথরে খুদায় করা একটি নাম ফলক স্থাপন করা হয়। এদিকে গেল ইউপি নির্বাচনে মো. লিটন মিয়া চেয়ারম্যান হিসেবে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন।
এ ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করে কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফারুক মিয়ার বলেন, ইউনিয়নবাসীর স্বার্থে আমার নিজের পকেট থেকে প্রায় দশ লক্ষ টাকা দিয়ে জায়গা কিনে দিলাম। না হলে ভবণ নির্মাণ করা সম্ভব হয় না। কিন্তু আজ প্রতিহিংসা বশত বর্তমান চেয়ারম্যান নাম ফলকটি ভেঙে ফেলে দিলেন। এ নিয়ে এলাকায় মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এছাড়াও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, এটা মোটেও সঠিক হয়নি। এ নিয়ে যেকোন সময় এলাকায় বিরোধ ও সংঘাতের সৃষ্টি হতে পারে। এতে সহমত প্রকাশ করেন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোরাদ খান।
এ ব্যপারে কালিকাপ্রসাদ ইউপি চেয়ারম্যান মো. লিটন মিয়া জানান, আসলে গেইটের সামনে ছাউনি নির্মাণ করা হচ্ছে। কেননা বিভিন্ন সময় ভিজিডি, ভিজিএফ এবং টিসিবি মালামাল বিতরণের সময় রোদ-বৃষ্টির কারণে অনেক সময় সমস্যা হয়। তাই, ছাউনি নির্মাণ করতে গিয়ে এমনটা হয়েছে। তবে, স্থানদাতা হিসেবে অবশ্যই তাদের নাম ফলকটি স্থাপন করা হবে। আর এরিমধ্যে আমি নাম ফলকটি অর্ডার দিয়েছি, আসলেই পুনরায় লাগানো হবে। তিনি আরও বলেন, এ নিয়ে এলাকায় কোন উত্তেজনা নেই।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply