সেমিফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না নিউজিল্যান্ডের সামনে। কেননা পাকিস্তান ও আফগানিস্তানও যে সেমির দৌড়ে তাদের ধাওয়া করছে ঠিক পেছন থেকে। এমন ম্যাচে বড় জয়ই তুলে নিল নিউজিল্যান্ড। লঙ্কানদের ১৭১ রানে অলআউট করে ২৩.২ ওভারে মধ্যেই ৫ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে তারা। তাতে নিউজিল্যান্ডের সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা বাড়ল, কঠিন হলো পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সমীকরণ।
এ জয়ের ফলে সব কটি ম্যাচ শেষে নিউজিল্যান্ডের পয়েন্ট ১০। তাদের নেট রানরেট +০.৭৪৩। এক ম্যাচ বাকি থাকা পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের পয়েন্ট ৮ করে। তাদের নেট রানরেট যথাক্রমে +০.০৩৬ ও -০.৩৩৮। অর্থাৎ সেমির দৌড়ে নিউজিল্যান্ডকে পেছনে ফেলতে এ দুদলকে নিজেদের পরের ম্যাচে শুধু জিতলেই হবে না, তা হতে হবে বড়সড় ব্যবধানে।
বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রান তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৮৬ রান করে নিউজিল্যান্ড। ডেভন কনওয়ে ৪৫ রানে আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান রাচিন রবীন্দ্র। ৩৪ বলে তিনি করেন ৪২ রান। এরপর ৪২ রানের জুটি হয় কেন উইলিয়ামসন ও ড্যারেল মিচেলের মধ্যে। ১৪ রানে উইলিয়ামসনের বিদায়ে ভাঙে সে জুটি।
মার্ক চাপম্যান ৭ রানে রানআউট হন। মিচেল ৩১ বলে আউট হন ৪৩ রান করে। গ্লেন ফিলিপস ও টম লাথামের বলে বাকি পথটা পাড়ি দেয় নিউজিল্যান্ড। ১০ বলে ফিলিপস ১৭ ও লাথাম করেন ২ রান।
এর আগে ব্যাটিং বিপর্যয়ে ১৭১ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। ৩২ রানের মধ্যেই টপঅর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে ফেলে তারা। ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা ২, কুশাল মেন্ডিস ৬ ও সাদেরা সামারাভিক্রমা আউট হন ১ রানে। ৩ উইকেট পড়ে গেলেও মারমার-কাটকাট স্টাইলে ব্যাট করতে থাকেন ওপেনার কুশাল পেরেরা। মাত্র ২২ বলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। এরইমধ্যে ৮ রানে বিদায় নেন চারিথ আসালাঙ্কা। তখন একটু দেখেশুনে খেলছিলেন পেরেরা। হাফসেঞ্চুরি করে পরের ৫ বলে কোনো রান নেননি তিনি। ২৮তম বল ফেস করতে গিয়ে মিচেল স্যান্টনারের কাছে।
এরপর ধীরে ধীরে ৩৪ রানের জুটি গড়ে তোলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। ম্যাথিউসকে বিদায় করে তাদের জুটি ভাঙেন স্যান্টনার। ২৭ বলে ১৬ রান করেন লঙ্কান অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ক্রিজে নামলেও টাইমড আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে, খেলতে পারেননি একটি বলও। স্কোর বোর্ডে আর ১ রান যোগ হওয়ার পর বিদায় নেন সিলভা। ২৪ বলে তিনি করেন ১৯ রান। এরপর অনেকক্ষণ ধরে খেলেন মহেশ থিকশানা ও দুশমন্থ চামিরা। দুজনই একের পর এক বলে ডট খেলছিলেন। চামিরাকে ফিরিয়ে তাদের ১৫ রানের জুটি ভাঙেন রাচিন রবীন্দ্র। ২০ বলে চামিরা করেন ১ রান।
চামিরা-থিকশানা জুটির মতো থিকশানা-মদুশাঙ্কা জুটিও দীর্ঘক্ষণ ধরে ক্রিজে টিকে থাকেন। এ সময় কিছু রানও তোলেন তারা। থিকশানার পাশাপাশি মদুশাঙ্কাও স্কোর বোর্ডে অবদান রাখছিলেন। ৪৩ রানের জুটির পর মদুশাঙ্কা ১৯ রানে আউট হলে ইনিংস শেষ হয় শ্রীলঙ্কার। ৯১ বলে ৩৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন থিকশানা। কিউইদের হয়ে ট্রেন্ট বোল্ট ৩টি উইকেট নেন। লকি ফার্গুসন, রাচিন রবীন্দ্র ও মিচেল স্যান্টনাররা পান ২টি করে উইকেট। ১ উইকেট নেন টিম সাউদি।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply