
১২ ডিসেম্বর শনিবার ভাসানী জনশক্তি পার্টির উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী আজীবন সম্রাজ্যবাদ বিরোধী লড়াই সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন। তিনি কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের পক্ষে কথা বলেছেন। তিনি নেতাদের নেতা ছিলেন। তার হাতেগড়া অনেক কর্মী বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা পরিচালনা করেছেন। মওলানার মৃত্যুর ৪৯ বছরেও মওলানা ভাসানীর কাঙ্খিত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। মির্জা ফখরুল বলেন রাজনীতিবিদদের উচিত মওলানার জীবন এবং দর্শনকে ভালোভাবে স্টাডি করা। মওলানা ভাসানী ছিলেন নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান, তার চিন্তা দর্শন কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণরূপে স্বতন্ত্র, তার সাথে অন্য কারো তুলনা চলে না। তিনি নিজেই নিজের তুলনা। মওলানা ভাসানী হুজুরকে যথাযোগ্য মর্যাদা দিতে পারলে আমরা জাতি হিসাবে সম্মানিত হব। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার জন্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানান। একজন প্রার্থী ওসমান হাদীর উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানান। যে কোন মূল্যে সরকারকে নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু স্বাভাবিক রাখার আহ্বান জানান। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে হলে তার আদর্শ ধারন করতে হবে। তিনি গণমানুষের পক্ষে কথা বলে বিভিন্ন সময়ে শাসকদের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছেন যার কারনে তাকে মজলুম জননেতা বলা হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিশিষ্ট কলামিষ্ট নাজমুল হক নান্নু বলেন মওলানা ভাসানী ছিলেন বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদের শ্রেষ্ঠ অভিভাবক। তিনি আজীবন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করেছেন। তিনি কখনো ক্ষমতা গ্রহণ করেননি কিন্তু কর্মীদেরকে ক্ষমতায় বসিয়েছেন। তিনি সাধারণ মানুষের মতো জীবন যাপন করেছেন। তিনি তার অনুসারীদের মানবতার সেবায় নিয়োজিত হওয়ার দীক্ষা দিতেন।
সভাপতির বক্তব্যে শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ১২ ডিসেম্বর মাওলানা ভাসানী জন্ম দিবস এবং ১৭ নভেম্বর মৃত্যু দিবসকে জাতীয় দিবস হিসাবে ঘোষণা করার জোর দাবি জানান। পাঠ্যপুস্তকে মওলানা ভাসানীর সংগ্রামী জীবন কাহিনী গল্প আকারে তুলে ধরতে হবে। বাবলু বলেন দেশে বর্তমানে মৌলবাদের উত্থান হতে দেওয়া যাবে না।
ভাসানী জনশক্তি পার্টির মহাসচিব ডক্টর আবু ইউসুফ সেলিম বলেন মওলানা ভাসানী প্রকৃত ইসলামের অনুসারী ছিলেন। যারা ইসলামী রাজনীতি করেন, তাদের উচিত মওলানা ভাসানীর জীবন দর্শন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা। ইসলামের মধ্যেই সমাজতন্ত্র এবং গণতন্ত্রের সকল ভালো দিকগুলো বিদ্যমান রয়েছে। উক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ভাসানী জনশক্তি পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আমিনুল ইসলাম সেলিম, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, বাবুল বিশ্বাস, বিলকিস খন্দকার, মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, ভাসানী জনশক্তি পার্টির যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, প্রচার সম্পাদক মেহেদী হাসান তপন, রিকশা ভ্যান শ্রমিক পার্টির সভাপতি রতন দেওয়ান, বংশাল থানা সভাপতি ইমরুল হাসান ওয়াসিম প্রমুখ।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply