
নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ অবমাননারীরা পিনাকী-ইলিয়াসের বিচার চাই। আমি মনে করি জনবিরোধী বন্দর চুক্তি ও মুক্তিযুদ্ধ অবমাননা একই সূত্রে গাঁথা। যদি তা না-ই হবে ‘বিজয় দিবস’ ‘মুক্তিযুদ্ধ’ বীরাঙ্গণাদেরকে অস্বীকারকারীদেরকে কেন দেশে এনে বিচারের আওতায় আনার কোনো উদ্যোগ এই সরকার নিচ্ছে না। যারা বন্দর চুক্তিকে বাস্তবায়ন করেছে, তারা আমাদের দেশের স্বার্থ নয়; বিদেশী স্বার্থ রক্ষায় বদ্ধ পরিকর। তাদের ইন্ধনেই রাষ্ট্রদ্রোহী হয়ে মুক্তিযুদ্ধ-দেশ এবং স্বার্বভৌমত্ব অবমননার বাম্পার ফলন চলছে।
১২ ডিসেম্বর বেলা ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বন্দর চুক্তি বাতিল ও দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে সমাবেশ ও কালো পতাকা মিছিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। এসময় মোমিন মেহেদী আরো বলেন, গত ১৬ বছরের মত এখনো মানবাধিকার রাষ্ট্রিয় ক্ষমতাসীনদের হ্যাঙ্গারে ঝোলানো। মাধবাধিকার থেকে বঞ্চিত ভাসমান-নদী ভাঙ্গনের শিকার ৩৭ লক্ষ মানুষের পাশাপাশি সারাদেশে সাধারণ মানুষের একটি বড় অংশ। সেই সাথে একাত্তরের মানবতা লঙ্ঘণকারীদের বিচার করতে না পারার ব্যর্থতায় আজ জাতি হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষকে মানবাধিকার লঙ্ঘণের শিকার হতে হচ্ছে। কখনো এই পক্ষ, কখনো ওই পক্ষ ক্ষমতায় আসলে দুই পক্ষই মানবাধিকার লঙ্ঘণের রাস্তাটাকে প্রশস্থ করেছে। সেই সাথে যোগ হয়েছে লাগামহীন দুর্নীতি। এসময় বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম মেম্বার গাজী মনসুর, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব কাজী মুন্নি আলম, যুগ্ম মহাসচিব মনির জামান, ওয়াজেদ রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন বৈরাগী, আফতাব মন্ডল, মো. ইউনুস, শেখ সালমান, মো. সম্রাট প্রমুখ।
মোমিন মেহেদী এসময় আরো বলেন, নির্মম হলেও সত্য অতিতের সরকারের চেয়ে আরো একধাপ এগিয়ে আমাদের রাষ্ট্রিয় ক্ষতি করবার অপচেষ্টায় ব্যস্ত হয়ে আছে। তারা দেশী স্বার্থকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দক্ষ জনবল তৈরি না করে বন্দরসহ বিভিন্ন স্থাপনা পরিচালনার দায়িত্ব দেয়ার নামে দীর্ঘ মেয়াদের জন্য বিদেশী শক্তির হাতে তুলে দিচ্ছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply