নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেছেন, ধর্মকে পুঁজি করে রাজনীতি বন্ধের পাশাপাশি ধর্ম অবমাননারোধে নির্বাচনের আগেই ‘ধর্ম সুরক্ষা আইন’ করুন। যাতে করে রাজনীতি, শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি কোথাও আর ধর্মকে নিয়ে টানাটানি কেউ করতে না পারে। ২৯ নভেম্বর বিকেলে ২৭/৭ তোপখানা রোডস্থ বিজয় মিলনায়তনে অপরাধ-দুর্নীতিরোধ এবং ধর্ম সুরক্ষা আইন প্রণোয়নের দাবিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, চরমোনাইর ফয়জুল করিম পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআনকে ‘শুভংকরের ফাঁকি’ যখন বলেছিলেন, তৌহিদী জনতা তখন কথা বলেনি, আমাদের ধর্মীয় আলেমরাও নিরব থেকেছে কেন? কারণ তারা আবুল সরকারের ভুল দেখে, কিন্তু চরমোনাইর শায়েখের ভুল দেখে না। আর এভাবে ধর্ম অবমাননা চলতে থাকলে ভাইয়ে-ভাইয়ে দ্বন্দ্ব আরো বাড়বে। যা কোনোভাবেই আমরা চাই না বলেই নির্বাচনের আগেই ‘ধর্ম সুরক্ষা আইন’ প্রণোয়ন ও কার্যকর চাই। আজ জামায়াতসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ধর্মীয় অপব্যাখ্যা করে রাজনীতির নামে অপরাজনীতিকে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। ৮ দলীয় একটা এলায়েন্স করে সেখানে এক দল বলছে পিআর চাই, আরেক দল বলছে গণতন্ত্র হারাম, আরেক দল বলছে খেলাফত চাই, আরেক দল বলছে ইসলামী প্রজাতন্ত্র চাই। মানে নিজেরাই জানে না, তারা কি চায়। এমতবস্থায় ইসলাম-সনাতন-খ্রিষ্টান- বৌদ্ধ-নাস্তিকসহ সকল ধর্মানুসারীদেরকে সতর্ক রাখতে ‘ধর্ম সুরক্ষা আইন’-এর খড়গের নিচে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। যে যার ধর্ম পালন করবে, কেউ কারো ধর্ম নিয়ে অবমাননাকর কথা বলতে পারবে না। বললে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।
এসময় প্রেসিডিয়াম মেম্বার গাজী মনসুর, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. নূরজাহান নীরা, যুগ্ম মহাসচিব মনির জামান, ওয়াজেদ রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক অরবিন্দ দেবনাথ, কেন্দ্রীয় সদস্য হুমায়ুন কবির জীবন, মো. জুয়েল, মিজান ঢালী, আবদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এসময় নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ধর্মীয়ভাবে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সংঘাত হচ্ছে শুধুমাত্র ‘ধর্ম সুরক্ষা আইন’-এর মত একটা কঠোর আইন না থাকায়। নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি মনে করে বিশে^র বৃহত্তর মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে সকল ধর্মের অনুসারীদের সহঅবস্থান নিশ্চিত করতে অপরাধ-দুর্নীতিরোধে কঠোর পদক্ষেপের পাশাপাশি সর্বোচ্চ চেষ্টায় ‘ধর্ম সুরক্ষা আইন’ প্রণোয়ন ও বাস্তবায়ন প্রয়োজন।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply