নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী বলেছেন, জনগণের মতামত না নিয়ে দক্ষ জনবল আর টাকার অভাবের অযুহাতে ৩০ বছরের জন্য করা বন্দর চুক্তিই একটা বড় দুর্নীতি। ড. ইউনূসের মত একজন শিক্ষিত মানুষ সরকার প্রধান হওয়ার পর এই বন্দর পরিচালণার জন্য বিদেশীদের কাছ থেকে অর্থ সহায়তা নিতে পারতেন, অদক্ষ জনবলকে দক্ষ করতে পারতেন, গত ১৫ মাসে সেই রাস্তায় না হেঁটে তিনি বন্দর চুক্তির মধ্য দিয়ে ১ নয়, ২ নয়, ৩০ বছরের জন্য আমাদের দেশের বন্দর তুলে দিতে উদ্যোগ গ্রহণ করলেন বিদেশীদের হাতে। যা শুধু দুর্নীতির-ই প্রমাণ নয়; তার এবং তার সরকারের ব্যর্থতারও প্রমাণ।
তিনি ২১ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে দুর্নীতিরোধ ও বন্দও চুক্তি বাতিলের দাবিতে অনুষ্ঠিত লিফলেট বিতরণ ও পথ সভায় উপরোক্ত কথা বলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির যুগ্ম আহবায়ক হুমায়ুন কবির জীবনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, যুগ্ম মহাসচিব ওয়াজেদ রানা প্রমুখ।
এসময় নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বন্দর চুক্তি বাতিলের ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। এরমধ্যে দেশ বিরোধী বন্দর চুক্তি বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ না করে রিট করানো হয়েছে। সেই রিট অনুযায়ী মাননীয় আদালত বন্দর চুক্তির সকল কাজ বন্ধের আদেশ দিয়েছে। কিন্তু চুক্তি বাতিলের দাবিতে আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। নির্মম হলেও সত্য যখন বাংলাদেশের মানুষ স্বপ্ন দেখেছিলো ড. ইউনূসের হাত ধরে অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে, তখন বাংলাদেশের ঋণের রেকর্ড তৈরি হয়ে ২১ ট্রিলিয়ন ডলার হয়েছে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হয়েছে, দুর্নীতি স্বয়ং ইউনূস সাহেবের আত্মীয়-স্বজন-পারিষদবর্গ আর পিয়ন-চাপরাশিদের পৃষ্টপোষকতায় অতিতের রেকর্ড ভেঙ্গে এগিয়ে চলছে। আমাদের এক কথা, তাদের এই বন্দর চুক্তি বাতিল করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply