সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন

মাধবপুরে বিএনপি নেতা পারভেজ ও জালাল সিন্ডিকেটের সিলিকা বালু হরিরলুট

লিটন পাঠান
  • আপডেট : রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের মাধবপুরে বিগত ৮মাসে সোনাই নদীর বিভিন্ন এলাকা সহ দুটি রাবার ড্রাম এলাকার বালু তুলে নিচ্ছে একটি প্রভাবশালী চক্র। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা’র প্রচ্ছন্ন মদদে বিএনপি নেতা ৬নং শাহাজাহানপুর ইউ/পি চেয়ারম্যান পারভেজ হোসাইন চৌধুরী, বিএনপি নেতা এ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলামের ভাই জালাল মেম্বার কোটি কোটি টাকার বালু উত্তোলন করে বিক্রী করে যাচ্ছেন। এ ছাড়া মনতলা, চৌমুহনী বালু কোয়ারির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও চেয়ারম্যান পারভেজ চৌধুরী, ও জালাল মেম্বার, পৌর বিএনপির নেতা হাজী ফিরোজসহ একটি সিন্ডিকেট, আইনের তোয়াক্কা না করে দেদারছে বালু উত্তোলন ও বিক্রী করে যাচ্ছে। এ নিয়ে ফেসবুকে ছাত্র সমন্বয়ে সিরাজুল ইসলাম তানজিল ও এলাকার যুবকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও আপলোড ও লাইভ ভিডিও করে প্রতিবাদ করলেও ইউএনও’র টনক নড়েনি। মনতলা খনিজ বালু কোয়ারির বোরহানপুর, ভবানীপুর, দূর্লভপুর, আফজলপুর, মনোহরপুর, মঙ্গলপুর, গাজীপুর, আশ্রবপুর মৌজা সহ মনতলা, চৌমুহনী বালু কোয়ারির অলিপুর, তুলশিপুর, মহব্বতপুর, বডুরা সহ সোনাই নদীর রাবার ড্রাম এলাকার আশেপাশে শতাধিক ট্রাকটরে করে ধর্মঘর, হরষপুর হয়ে বিভিন্ন অঞ্চলে বালু পাচার করা হচ্ছে।

প্রতি ট্রাকটর দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে। অব্যাহতভাবে ট্রাক, ট্রাক্টরে অবৈধ বালু পরিবহনের কারনে চৌমুহনী, বহরা ও ধর্মঘর এই তিনটি ইউনিয়নের গ্রামীণ সড়ক গুলো ভেঙ্গে খানাখন্দকে রুপ নিয়েছে। জন ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। গত (২৮-অক্টোবর) জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজন শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা হলেও বালু পাচারের মূল হোতা পারভেজ চৌধুরী, জালাল মেম্বার সহ মূল চক্রটি ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে গেছে। মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিশেষ দৃষ্টি থাকার কারণে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে উল্লেখিত এই চক্রটি দিনের পর দিন বালু লুটে নিচ্ছে। ইউএনও জাহিদ বিন কাশেমের বিশেষ সুবিধা প্রদানের কারণে পারভেজ হোসাইন চৌধুরী ও জালাল মেম্বার গং সরকারের কোটি কোটি টাকার সম্পদ লুটে নিলেও আইনী ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে বালু খেকো সিন্ডিকেটের গড ফাদারদের আইনের আওতায় আনার দাবি, জানিয়েছেন অভিযোগকারী মোঃ আশরাফুল ইসলাম ও তিন ইউনিয়নবাসী। গত (৩০-অক্টোবর) জেলা প্রশাসক বরাবরে আশরাফুল ইসলাম একটি অভিযোগ প্রদান করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS