লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বাশঁডর গ্রামে তিনসন্তানের জননী তার পরকিয়া প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে গেছে, এদিকে শিশু সন্তানেরা মায়ের অপেক্ষার প্রহর গুনছে। পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায় নবীগঞ্জ উপজেলা বাউসা ইউনিয়েনের বাশঁডর গ্রামের মুদি ব্যবসায়ী মোঃ দুলাল মিয়া বিগত ১০ বছর আগে তার নিজ গ্রাম বাশঁডরের বাসিন্দা মো: ঠান্ডা মিয়া মেয়ে রোকসানা বেগম (২৫) পারিবারিক ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তাদের দাম্পত্য জীবনে দুটি ছেলে ও একটা কন্যা সন্তান রয়েছে , তাদের দাম্পত্য জীবন ভালোই কাটছিলো, অত্র এলাকায় দুলাল মিয়া সুনামের সহিত বসবাস করছেন, পরিবর্তিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেখাশোনার জন্য একজন কর্মচারী প্রয়োজন হয়,সেই সুবাদে নিজ গ্রামের বাসিন্দা আজিম উদ্দিন মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান অপু(২২)কে কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ করেন সেই সুবাধে।
মোঃ দুলাল মিয়া বলেন, খাওয়া দাওয়া ও প্রয়োজনীয় কাজে বাসায় আশা যাওয়া প্রায়ই করতো, এ অবস্থায় আমার টাকা পয়সা ও সোনা গহনার লোভে আমার সহজ সরল স্ত্রী রোকসানা বেগমকে ভুলিয়ে বালিয়ে ফাঁসিয়ে নেয়, তাকে অবৈধ প্রেমের প্রস্তাব দেয়,এবং বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ফাঁদে ফেলে, এই বিষয়ে আমার স্ত্রী রোকসানা বেগম আমাকে কয়েকবার আমার কর্মচারী অপু বিষয় জানায়, তাকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ইঙ্গিত দিত, পরিবর্তিতে কর্মচারী মেহেদী হাসান অপুকে সাবধান করি, সে ক্ষোভে ক্ষিপ্ত হয়ে গত(১২-অক্টোবর) আমার ছেলে রায়হান(১০)কে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম রুমে, তখন আমার স্ত্রী রোকসানা বেগম পাশের রুমে আমার দুই সন্তান কে নিয়ে, সে ও ঘুমিয়ে ছিলো, ওই রাতে আনুমানিক ১২ঘটিকার সময় আমার যখন ঘুম ভেঙ্গে যায়, আর পাশের রুমে যখন তাকাই তখন দেখি আমার স্ত্রী রুমে নাই, তখন আশেপাশে অনেক খোজাখুজি করেও তার কোন সন্ধান পায়নি, পরে আমার স্ত্রীর মুঠো ফোনে কল দিলে।
সেটাকে ও বন্ধ পাই,প্রায় ঘন্টাখানেক পর আমার শ্বশুর বাড়িতে ফোন দিয়ে রোকসানা খুজ নিয়ে জানতে পারি, সেখানে ও সে যায়নি,পরেদিন সকাল ৬টায় সন্দেহবসে কর্মচারী মেহেদী হাসান অপুর খোজ নিয়ে জানতে পারি সেও বাড়িতে নাই,পরে তার বাবা মাকে এই বিষয়ে অবগত করি,তারা ধৈয্য ধরার কথা বলেন এবং আমার স্ত্রী রোকসানা বেগম কে ফিরিয়ে দিবেন বলে আশ্বাস করেন,এছাড়া আমার বাসা তল্লাশি করে দেখি আমার নগদ এক লক্ষ্য বিশ হাজার টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণলংকার সহ দামী দামী মোবাইল ও অনেক কাপর-চোপর সাথে করে নিয়ে গেছে, যা আমার জীবনের সম্বল ছিলো, এদিকে আমার স্ত্রী রোকসানা বেগম হারিয়ে আমার সন্তানেরা দিশেহারা।
তাদের অস্থিরতায় আমি নিজেও অস্তির জানিনা আমার স্ত্রী কোথায় আছে, কেমন আছে, আমি প্রশাসন সহ দেশবাসীর কাছে এই প্রতারণার বিচার চাই, তাই নিরুপায় হয়ে গত(১৩অক্টোবর) নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করি, এই বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোঃ কামরুজ্জামান বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষ বিষয় টি খতিয়ে দেখবো।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply