ভৈরব(কিশোরগঞ্জ)প্রতিনিধি: বড় বড় ডেক্সিতে চলছে রান্নাবান্না। সাজানো হয়েছে প্যান্ডেল। যে কেউ দেখলে মনে করবে হয়তোবা কোন বিয়ে শাদীর অনুষ্টান চলছে। আসলে তা নয়, এখানে চলছে এক ব্যতিক্রমী মেহমানখানার আয়োজন। মেহমানও কম নয় প্রায় দেড় থেকে ২ শত। ২বছর যাবত চলে আসছে এ আয়োজন।
ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ঝগড়ারচর গ্রামের পান্ডব ব্যাপারী বাড়ির একদল যুবক ইংরেজি মাসের প্রথম শুক্রবার এলেই মানবতার হাত বাড়িয়ে দেয় হতদরিদ্র মানুষের একবেলা উন্নত খাবার খাওয়ানোর জন্য। ঐ এলাকার যুবক, ব্যবসায়ী ও প্রবাসীদের অর্থায়নেই এ আযোজন করা হয়। আয়োজন করেছেন গরীবের মাসিক মেহমানখানা।
মাসের শেষ সপ্তাহে বৃহস্পতিবার রাতে আয়োজকরা দাওয়াত কার্ডের মাধ্যমে দাওয়াত করে আসেন অসহায় দরিদ্র পরিবারকে। পরদিন শুক্রবার দাওয়াত কার্ড হাতে নিয়ে সারি বদ্ধ ভাবে আসতে থাকেন মেহমানরা। প্যান্ডেলের নিচে মেহমানদের সুন্দর মনোরম পরিবেশে খেতে দেয়া হয় কোন মাসে গরু আবার কোন মাসে খাসির মাংস,মাশের ডাউল পোলাউ কখনোবা সাদা ভাত। মেহমানদের মাঝে কেউ রিস্কা চালক,কেউ দিনমজুর,কেউ এতিম,মিসকিন,কেউবা সরকারের দেওয়া আশ্রয় কেন্দ্রের বাসিন্দা এমনকি ভাসমান ছিন্নমূল মানুষও। তবে এখানে তাদের পরিচয় একটাই,সবাই মেহমান খানার মেহমান। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে এলাকার প্রতিবন্ধি,ভিক্ষুক ও অসহায় দরিদ্র পরিবার গুলো উন্নত মানের খাবার খেতে পারেনা। তাই তাদের কথা বিবেচনা করে আমরা নিজেদের অর্থ ও শ্রম দিয়ে তাদের জন্য আয়োজন করে থাকি।
এ বিষয়ে আয়োজক শাকিল মিয়া ও সমাজ সেবক কবির আহমেদ জানান, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে এলাকার প্রতিবন্ধি,ভিক্ষুক ও অসহায় দরিদ্র পরিবার গুলো ভালো ও উন্নত মানের খাবার খেতে পারেনা । তাই তাদের কথা বিবেচনা কেও আমরা নিজেদের অর্থ ও শ্রম দিয়ে আয়োজন করে থাকি ।
এছাড়াও কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো.লিটন মিয়া বলেন,যুব সমাজের উদ্যোগে একটি মহৎ কাজ প্রতি মাসে মেহমানের মত কার্ডের মাধ্যমে দাওয়াত দিয়ে প্রতিবন্ধী ও অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য এক বেলা ভালো খাবারের আয়োজন করে যাচ্ছে ২বছর যাবৎ। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই ও আমার পরিষদের পক্ষ থেকে যেই কোন সহযোগিতা প্রয়োজন হলে আমি তাদের পাশে থাকবো।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply