শেষ ৬ বলে পাকিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১১ রান হাতে ছিল ৪ উইকেট। ব্রেড ইভান্সের করা ওভারের প্রথম তিন বল থেকে ৮ রান নিয়ে সেই সমীকরণটা সহজ করে ফেলে পাকিস্তান। কিন্তু চতুর্থ বল ডট আর পঞ্চম বলে নাওয়াজ সাজঘরে ফিরলে সমীকরণ দাঁড়ায় ১ বলে ৩ রানে। শেষ বলে শাহীন আফ্রিদি মাত্র ১ রান নিতে পারলে ১ রানের জয় পায় জিম্বাবুয়ে।
১৩১ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই ভুগতে থাকে পাকিস্তান। দুই ওপেনার বাবর আজম আর মোহাম্মদ রিজওয়ান দ্রুত সাজঘরে ফিরলে দলের বিপদ বাড়ে। তবে শান মাসুদের ব্যাটে আবারও ম্যাচে ফেরে তারা।
কিন্তু সিকন্দার রাজা একই ওভারে শাদাব খান এবং হায়দার আলিকে সাজঘরে ফেরালে পাকিস্তানের আকাশে শঙ্কার মেঘ জমে। সেই মেঘই অমঙ্গলের বৃষ্টি হয়ে ঝড়েছে বাবর-রিজওয়ানদের ওপর। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান তুলতে পেরেছে পাকিস্তান। টানা দুই হারে সেমি-ফাইনালের সমীকরণ এখন অনেকটাই কঠিন হয়ে গেছে বাবরের দলের জন্য।
পার্থে এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় জিম্বাবুয়ে। দুই ওপেনার ওয়েসলি মাদেভারে এবং ক্রেইগ আরভিন মিলে ভালো ভীত গড়েন। বিশেষ করে মাদেভারে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। ১৩ বলে ১৭ রান এসেছে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে।
তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি মিল্টন শোমবা। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১০ বলে ৮ রান। চারে নেমে ধীর গতির ইনিংস খেলেছেন শন উইলিয়ামস। সাজঘরে ফেরার আগে তিনি করেছেন ২৮ বলে ৩১ রান। মিডল অর্ডারে সিকান্দার রাজা কিংবা রেজিস চাকাভাদের কেউই সুবিধা করতে পারেননি। উল্টো দ্রুত উইকেট হারিয়ে দলকে চাপে ফেলেছেন। শেষদিকে ব্রেড ইভান্স ১৫ বলে ১৯ রান করলে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply