বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ০২:৩৪ অপরাহ্ন

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে আয়ারল্যান্ডের ইতিহাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২২

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোর পর কেবলই ইংল্যান্ডের হাল ধরেন মঈন আলি। আয়াল্যান্ডের বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালাতেও শুরু করেছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তবে মঈনের ঝড় থামায় বেরসিক বৃষ্টি। তাতে ডার্ক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে আয়ারল্যান্ডের কাছে ৫ রানে হারল ইংল্যান্ড।

১৫৮ রানের লক্ষ্যে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই অধিনায়ক জস বাটলার রিক্ত হস্তে বিদায়। তৃতীয় ওভারে আরেক ওপেনার অ্যালেক্স হেলসও (৭) নেই। দুজনকেই মাঠছাড়া করে জশ লিটল বোলিংয়েও আয়ারল্যান্ডকে দারুণ সূচনা এনে দেন।

পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে আরেকটি উইকেট যায় ইংল্যান্ডের। ২৯ রানে ৩ উইকেট হারানো দলটি পাওয়ার প্লে শেষ করে ৩ উইকেটে ৩৭ রানে। ওই যে ধাক্কা লাগে ইংলিশদের ব্যাটিং লাইনে, তাতে সাবধানী ইনিংস খেলতে বাধ্য হয়। ১০ ওভারে মাত্র ৬৩ রান সংগ্রহ করে তারা আর কোনও উইকেট না হারিয়ে। ১১তম ওভারে হ্যারি ব্রুককে (১৮) ফিরিয়ে ৩৮ রানের জুটি ভেঙে ব্রেকথ্রু আনেন জর্জ ডকরেল। ক্রিজে থিতু হওয়া ডেভিড মালানও (৩৫) ফিরে যান। তাতে ৮৬ রানেই নেই ৫ উইকেট।

এর আগে ২১ রানে পল স্টার্লিংয়ের (১৪) বিদায়। লরকান টাকারকে নিয়ে তারপর অ্যান্ডি বালবির্নির ব্যাটিং তাণ্ডব। ১০ ওভারে আর কোনও উইকেট না হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৯২ রান। ১ উইকেট হারিয়ে ১০০ পার করা আয়ারল্যান্ড হঠাৎ খেই হারায়। ইনিংসের চার বল বাকি থাকতে তারা গুটিয়ে যায় ১৫৭ রানে।

বালবির্নি ও টাকারের ব্যাটে যত বড় সংগ্রহের আভাস মিলছিল, তা উধাও হয়ে গেলো দুই দফার আকস্মিক ধাক্কায়। ১২তম ওভারে টাকারকে (৩৪) রান আউট করে ৮২ রানের জুটি ভেঙে দেন আদিল রশিদ। তিন বলের ব্যবধানে হ্যারি টেক্টরকে খালি হাতে প্যাভিলিয়নে পাঠান মার্ক উড। হুমকি হয়ে ওঠা বালবির্নি ৪০ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে হাফ সেঞ্চুরি উদযাপন করার পর আর খেলতে পারলেন ৭ বল, ব্যক্তিগত ঝুলিতে যোগ হলো আরও ১২ রান। লিয়াম লিভিংস্টোন সরান ইংল্যান্ডের পথের কাঁটা। ৪৭ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ৬২রানে অ্যালেক্স হেলসের ক্যাচ হন বালবির্নি।

অধিনায়ক মাঠ ছাড়তেই ধসের মুখে পড়ে আয়ারল্যান্ড। লিভিংস্টোন পরের বলে জর্জ ডকরেলকে (০) ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের হাতছানি পান। তবে গ্যারেথ ডিলানি তা হতে দেননি। একপ্রান্ত আগলে রাখলেও তিনি দেখছিলেন অন্যদের আসা যাওয়া। ৩ উইকেটে ১৩২ রান করা আইরিশরা আর ২৫ রান করে বাকি ৭ উইকেট হারায়। প্রথম ওভারে ১৪ রান দেওয়া স্যাম কারান ১৮তম ওভারে জোড়া ধাক্কা দেন। শেষ ওভারে আর দুটি বল খেলে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড। জশ লিটলের একমাত্র উইকেটটি নিয়ে ইনিংস শেষ করেন বেন স্টোকস।

লিভিংস্টোন ও উড সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন যথাক্রমে ১৭ ও ৩৪ রান দিয়ে। উড চার ওভারের বোলিং কোটা পূরণ করলেও একটি কম করেন লিভিংস্টোন। দুটি পান কারান।

এর আগে ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিখ্যাত জয়ের পুনরাবৃত্তি হলো এবার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। এর আগে একবারই টি-টোয়েন্টিতে দেখা হয়েছিল ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের। ২০১০ সালের বিশ্বকাপে সেদিন গায়ানায় আয়ারল্যান্ডকে হতাশ করেছিল বৃষ্টি। ইংল্যান্ডকে ১২০ রানে থামিয়ে ম্যাচে এগিয়ে ছিল তারা। কিন্তু আয়ারল্যান্ডের চতুর্থ ওভারে বৃষ্টির কারণে ম্যাচ অমীমাংসিত থাকে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS