ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: ভৈরব-সুনামগঞ্জ নৌ পথে মালবাহী নৌকায় ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া যায়। ডাকাতির ঘটনার পর ভৈরব বাজার নৌঘাট থেকে কোনো রকম মালামাল লোড ও যাত্রী বহন করছে না ২০টির বেশি মালামাল বহনকারী নৌকার মাঝিরা । এই ঘটনার প্রতিবাদে এই রুটের ১৫-২০ টি নৌকার মাঝি তাদের নৌযান নোঙর করে ধর্মঘট করেছে।
আজ শনিবার সকাল থেকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের খলাপাড়া মেঘনা নদীর তীরে বল্কগেটসহ মালামাল বহনকারী ১৫-২০ টি নৌকা ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়েছে।
মাঝিরা অভিযোগ করে জানান, ভৈরব বাজার নৌকা ঘাট থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর, বাদাঘাট, বিশম্ভপুর এলাকায় প্রসারি মালামালসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে বড় ৩০-৪০ নৌকা ও কার্গোজাহাজ চলাচলা করে । প্রতিদিনের মত আজ শনিবার ভোর রাতে সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর, বাদাঘাটের উদ্দ্যোশে মালবাহী ১৫-২০টি নৌকা ও কার্গো জাহাজ ভৈরববাজার ঘাট থেকে যাত্রা শুরু করে। যাত্রা পথে বাজিতপুর উপজেলা পাটুলীঘাটে যাওয়ার পর একদল ডাকাত দুটি বল্কহেড নৌকা দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে আটক করে তেলের ড্রাম, সিগারেটসহ প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকার দামী মালামাল লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন নৌকার মাঝিরা । এসময় ডাকাত দলের মারধোরে বেশ কয়েকজন নৌকার লোক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্য হাবিব নামের এক নৌকার মাঝির মাথা ফাটিয়ে দেন। পরে তাকে আহত অবস্থায় বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।
তাহিরপুর গামী নৌকার মাঝি জামাল মিয়া, শামসু, কামাল, এরশাদ, তোফাজ্জল, ছাদেক, শওকত, শাহ জাহান মিয়া বলেন, ভৈরব থেকে সুনামগঞ্জ নৌপথে যাত্রা পথে প্রায়ই ডাকাতের কবলে পড়ছি। নদীতে নৌ ডাকাতের ভয়ে ১০টি মালবোঝাই বল্কহেড নৌকা ও কার্গোজাহাজ উপজেলার খলাপাড়া ঘাটে নোঙর করে রেখেছি। আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মালামাল পরিবহন করতে হয়। সেজন্যই নৌপথে ডাকাত আতংকে প্রশাসন যদি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করেন তাহলে আমরা সকল মাঝিরা নৌ চলাচলা অনিদিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ করে রাখবেন তিনি জানান। তাই প্রশাসন যেন এই রুটে নৌ চলাচলে ডাকাতি বন্ধ করে পুলিশের টহল বৃদ্ধি করে ডাকাতি বন্ধ করার দাবি জানান।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ নৌপুলিশের এসপি মো. আসাদুজ্জামান মুঠোফোনে এই প্রতিনিধিকে জানান, গতকাল রাতে বাজিতপুর পাটুলিঘাট এলাকায় নৌকার মাঝিদের সাথে একটি ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে মীমাংসা করেন। তবে মাঝিদের নৌকা থেকে ৫০-৬০ লাখ টাকার মালামাল লুটপাটের অভিযোগের বিষয়টি তার জানা নেই বলে তিনি জানান। তবে যদি এই ধরণের কোন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন জানান তিনি।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply