পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে আজ নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে ভোটাভুটি হতে যাচ্ছে। রোববার ছিল এই পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সুযোগ। পাকিস্তানের বিরোধী জোটের প্রার্থী ও পিএমএল-এন সভাপতি শাহবাজ শরীফ এবং পিটিআইয়ের শাহ মাহমুদ কোরেশি প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এর আগে গত শনিবার রাতে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ইমরান খানের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমরানের বিপক্ষে ১৭৪টি ভোট পড়ে। পার্লামেন্টের ৩৪২ আসনের মধ্যে ইমরান খানের সরকারের পতনের জন্য ১৭২ জনের সমর্থনের প্রয়োজন ছিল। ফলে, প্রধানমন্ত্রীর পদটি শূন্য হয়ে যায়।
নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য সোমবার দুপুর ২টায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) পার্টির প্রধান শাহবাজ শরিফই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই শাহবাজ এতদিন প্রধান বিরোধী দলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকার পতনেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
এদিকে রোববার রাতে ইমরান খান এক টুইটার বার্তায় বলেছেন, দেশের পররাষ্ট্রনীতিকে স্বাধীন করতে গিয়ে তিনি মার্কিন ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। পাকিস্তানের আসন্ন সরকার হবে ‘বিদেশ থেকে আমদানি করা’ এক সরকার এবং এর প্রতি জনগণের কোনো সমর্থন থাকবে না।
পাকিস্তানের পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ভোটাভুটিতে তেহরিকে ইনসাফ দল থেকে ইমরান খানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মেহমুদ কোরেশি প্রার্থী হয়েছেন। কোনো কোনো সূত্র জানিয়েছে, কোরেশি হেরে গেলে তেহরিকের সংসদ সদস্যরা গণহারে পদত্যাগ করবেন।
খবর- পার্সটুডের
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply