বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসরে উড়ছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সিলেট স্ট্রাইকার্সের পর দুর্দান্ত ঢাকাকে হারিয়ে আসরে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে তারা।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে আসরের পঞ্চম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে চট্টগ্রাম-ঢাকা। প্রথমে ব্যাট করে এদিন নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৬ রান তোলে ঢাকা। জবাব দিতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ১০ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন তানজিদ হাসান তামিম।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ১৯ রান তুলে নেয় চট্টগ্রাম। মারকুটে ভঙ্গিতে ব্যাট করা আভিষ্কা ফার্নান্দোকে অবশ্য ক্রিজে স্থায়ী হতে দেননি ঢাকার পেসার শরিফুল ইসলাম। ৬ বলে ১২ রান করে এলবিডব্লিউ হন ফার্নান্দো। শরিফুলের তোপে তৃতীয় ওভারে সাজঘরের পথ ধরেন ইমরান উজ্জামানও। ৩ বলে ১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। তাতে ঢাকা কিছুটা লড়াইয়ের আভাস দিলেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তাদের নিরাশ করেন শাহাদাত হোসেন দীপু ও তানজিদ তামিম। দুজনের জুটিতে আসে ৫৩ রান।
১১তম ওভারে উসমান কাদিরের বলে দীপু যখন আউট হন তখন চট্টগ্রামের সংগ্রহ ৮১ রান। ৩১ বলে ২ চারের মারে ২২ রান আসে দীপুর ব্যাট থেকে। তবে তাসকিন-শরিফুলদের তোপের মাঝেও ক্রিজে দাঁড়িয়ে ফিফটির পথে হাঁটতে থাকেন তামিম। কিন্তু তাকে মাঠ ছাড়তে হয় ১ রানের আক্ষেপ নিয়ে। ১৬তম ওভারে তাসকিনকে তুলে মারতে গিয়ে অ্যালেক্স রসের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৪০ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৪৯ রান করেন তামিম।
শেষদিকে ৩টি ছক্কা হাঁকিয়ে চট্টগ্রামের জয় নিশ্চিত করেন নাজিবউল্লাহ। ১৯ বলে ৩ ছক্কা ও ১ চারে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১১ বলে ৭ রানে অপরাজিত থেকে তাকে সঙ্গ দেন শুভাগত হোম। ঢাকার হয়ে ৪০ রান খরচায় ২ উইকেট নেন শরিফুল। ১টি করে উইকেট তুলে নেন তাসকিন আহমেদ ও উসমান কাদির।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চট্টগ্রামের বোলারদের তোপে পড়ে তারা। দলের খাতায় ১ রান যোগ হতেই আল আমিনের বলে আঘাত পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হন লঙ্কান ব্যাটার দানুশকা গুনাথিলাকা। এরপর ক্রিজে এসে থিতু হতে পারেননি সাইফ হাসান। আল-আমিনের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন নাজিবউল্লাহ জাদরানকে। ৯ বল মোকাবিলায় ৯ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
পরের ওভারেই ডাককে সঙ্গী করে সাজঘরে ফেরেন ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। আলোড়ন তোলা অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার অ্যালেক্স রসকে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন মোহাম্মদ নাঈম। ১১ বলে ৮ রান করে দলীয় ৩১ রানে তিনি শিকার হন নিহাদুজ্জামানের। সে চাপ সামলে না উঠতেই দুই বল পর রান আউটের শিকার হন রস। বিগ ব্যাশে সিডনি থান্ডারের হয়ে খেলা এ ব্যাটার ২ চারের মারে ৯ বলে ১১ রান করেন।
এরপর অবশ্য গুনাথিলাকার কনকাশন সাব হয়ে নামা লাসিথ ক্রুসপুলে পথ দেখান ঢাকাকে। ইরফান শুক্কুরকে নিয়ে দলকে পার করে দেন শতরান। দুজনের জুটিতে আসে ৭৩ রান। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩১ বলে ৪৬ রান করে ইনিংসের ১৬তম ওভারে আউট হন ক্রুসপুলে। পরের ওভারে বিলাল খানের বলে বোল্ড হন শুক্কুর। ২৬ বলে ২ চারের মারে ২৭ রান করেন তিনি।
দুজনের বিদায়ে মন্থর হয়ে আসে ঢাকার রানের গতি। শেষদিকে ৯ বলে ১৫ রান করে দলের সংগ্রহটা ১৩০ পার করে দেন পেসার তাসকিন আহমেদ। চট্টগ্রামের হয়ে বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন আল-আমিন। ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ২ উইকেট তুলে নেন মাত্র ১৫ রান খরচায়। ২৮ রান খরচায় ২ উইকেট নেন বিলাল। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন শুভাগত হোম, নিহাদুজ্জামান ও কার্টিস ক্যাম্ফার।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply