এখন থেকে ব্যাংকগুলোর কোনো আমদানি পণ্যের মূল্য পরিশোধ করতে হলে বাধ্যতামূলকভাবে ভ্যাসেল ও কন্টেইনার ট্র্যাকিং করতে হবে। আমদানি পণ্য দেশে আসছে কিনা তা তদারকি করতে এমন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার (১৭ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি ডিপার্টমেন্ট’ আমদানি মূল্য পরিশোধে ঝুঁকি কমাতে এই সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
দেশে অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোকে পাঠানো এই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যে স্ক্রীনিং সচেতনতা দ্বারা আমদানি পণ্য পরিবহনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার লক্ষ্যে স্বীকৃত জাহাজ/কন্টেইনার ট্র্যাকিং সিস্টেমের মাধ্যমে রফতানি চালান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর করতে বলা হয়েছে এডি শাখাগুলোকে।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল রফতানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ট্র্যাকিং পদ্ধতি বাধ্যতামূলক ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছে, আমদানি পণ্যের ট্র্যাকিং করা হলে আমদানি মূল্য পরিশোধে ঝুঁকি থাকে না। নতুন নির্দেশনার ফলে পণ্য জাহাজীকরণ ছাড়া মূল্য পরিশোধ ঝুঁকি এড়ানো যাবে। তাদের মতে, অস্বাভাবিক আমদানির লাগাম টানতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এদিকে, ধারাবাহিক আমদানি ব্যয় পরিশোধের চাপে মার্কিন ডলারের ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। ফলে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাড়ছে ডলারের দাম। বিক্রি করেও ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে পারছে না বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল এক দিনেই ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে ৮০ পয়সা। আর গত ২০ দিনে ব্যবধানে তিন দফায় ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন হয় এক টাকা ৩০ পয়সা।
বর্তমানে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা। তবে ব্যাংকগুলো নগদ ডলার বিক্রি করছে এর চেয়ে ৮ থেকে ১০ টাকা বেশিতে। ব্যাংকের বাইরে খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটে ডলার কেনাবেচা হচ্ছে ১০০ টাকারও বেশি দরে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply