ইমন মাহমুদ লিটন, ভৈরব(কিশোরগঞ্জ)প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জে ভৈরবে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মারামারিতে নিহত তোফাজ্জল হোসেন আনন্দ হত্যা মামলার অভিযুক্ত প্রধান আসামিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-২, ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা। ২৭ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকালে পৌর শহরের ভৈরব পুর দক্ষিণ পাড়া এলাকায় ও রাতে উত্তর পাড়া নাটাল মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র পুলিশ সুপার মো. মুহিত কবীর সের্নীয়াবাত।
গ্রেফতারকৃতরা হলো পৌর শহরের উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি ভূবন (২৭) ও তার সহযোগী মেহেদী হাসান জিদান (২৩) ও ভৈরবপুর দক্ষিণ পাড়া এলাকার শোভন মিয়া (৩৩)।
র্যাব-১৪, সিপিসি-২, ভৈরব ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা সিলেট মহাসড়কে আলিম সরকারের বাড়ির রুজেন গ্রুপের সাথে আড়াই বেপারির বাড়ির ভুবন গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এসময় নিহত তোফাজ্জল হোসেন আনন্দ তার আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যায়। এসময় দুই পক্ষের লোকদের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যায় আনন্দ। সে সিলেট বাসস্ট্যান্ড ফলের আড়তের সাথে মিজান টাওয়ারের গলির মধ্যে পৌঁছালে অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আনন্দকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ সেপ্টেম্বর রাত ৩ টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোহাম্মদ আবু তাহের বাদী হয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর ভৈরব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৩৬।
এ বিষয়ে ভৈরব র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র পুলিশ সুপার মো. মুহিত কবীর সের্নীয়াবাত বলেন, মামলা হওয়ার পর থেকে ভৈরব র্যাব ক্যাম্প বিশেষ তৎপরতা চালায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৭ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায় পৌর শহরে দক্ষিণ পাড়া এলাকা থেকে মামলায় অভিযুক্ত মো. শোভনকে, রাত ১১ টায় ভৈরবপুর উত্তরপাড়া নাটালের মোড় এলাকা থেকে ভূবন (২৭) ও তার সহযোগী মেহেদী হাসান জিদানকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃতদের আইনি প্রক্রিয়া শেষে ভৈরব থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply