অপরাজিত থেকে সুপার এইটের টিকিট পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু শেষ আটে ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে বসে স্বাগতিকরা। যদিও পরের ম্যাচেই আরেক স্বাগতিক দল যুক্তরাস্ট্রকে উড়িয়ে দিয়েছে রভমান পাওয়েলের দল। ৯ উইকেটে জিতে এখন সেমিফাইনালের পথ খোলা রেখেছে দলটি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের হার আরও স্বস্তি দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ফলে যুক্তরাস্ট্রকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে রেটে ইংলিশদেরও পেছনে ফেলেছে তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে ফিরেছে টুর্নামেন্টের অন্যতম আয়োজকরা।
ব্রিজ টাউনে ১২৯ রানের লক্ষ্য ৫৫ বল হাতে রেখেই ছু্ঁয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যার বড় কৃতিত্ব ওপেনার শাই হোপের। যুক্তরাষ্ট্রের ওপর রীতিমত তাণ্ডব চালিয়েছেন তিনি। ৩৯ বলে অপরাজিত ৮২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন এই ওপেনার। যাতে ছিল ৪টি চার ও ৮টি ছক্কা। জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই জনসন চার্লস আর হোপের ব্যাটে ৭ ওভারে আসে ৬৭ রান। চার্লস বিদায় নিলেও প্রতিপক্ষের ওপর রিতিমত তান্ডব চালিয়েছেন হোপ। পুরান ১২ বলে ২৭ রানের ক্যামিও ইনিংসে অবদান রাখেন। তাতে ১০.৫ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় ক্যারিবিয়ানরা।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৫ ওভারে ১২৮ রানে অল আউট হয় যুক্তরাস্ট্র। ৩ রানে টেইলের আউটের পর ভালো কিছু বার্তা দিচ্ছিলেন আন্দ্রে গুস ও নিতিশ কুমার। নিতিশকে দলেন ৫১ রানে ফিরিয়ে সম্ভাবনাময় জুটি ভাঙেন গুদাকেশ মোটি। তাতেই ঘটে দলটির ছন্দপতন। দলীয় ৬০ রানে আলজারি জিসেফের বলে ফেরেন গুস। ১৬ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৯ রানে ফেরেন তিনি। তারপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকলে চাপে পড়ে যায় তারা। ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি যুক্তরাস্ট্র।
১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ছিলেন রোস্টন চেজ। ম্যাচসেরাও তিনি। ৩১ রানে আন্দ্রে রাসেলও তিনটি উইকেট নিয়েছেন। আলজারি জিসেফ ৩১ রানে নিয়েছেন দুটি। গুদাকেশ মোটি ১৪ রানে নিয়েছেন একটি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১০.৫ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় উইন্ডিজরা। এতে করে প্রথম দল হিসেবে সুপার এইট থেকে বাদ পড়লো ইউএসএ।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply