সাধারণত বয়স বাড়লে কিংবা ওজন বাড়লেও হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা হয়। তবে অনেকের আবার কম বয়সেও এ সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন মূলত তিনটি কারণে এই ব্যথা হয়।
তিনটি কারণের মধ্যে রয়েছে আঘাতজনিত, ক্ষয়জনিত এবং বাতজনিত। আঘাতজনিত ব্যথা খেলাধুলার ইনজুরি বা কোনো দুর্ঘটনায় লিগামেন্টের আঘাত থেকে হাঁটু বা জয়েন্টে ব্যথা হয়ে থাকে। আবার হাঁটুর জয়েন্টের কাছে কারটিলিস নামের যে নরম হাড় থাকে, সেখানে ক্ষয় দেখা দিলে হাঁটুর ব্যথা হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হাঁটু ব্যথা হলেই নিয়মিত ব্যথার ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়। এতে আরও নানা রকম শারীরিক সমস্যা বাড়বে। সেক্ষেত্রে হাঁটু ব্যথা কমাতে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে চলতে পারেন।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনার ব্যথা কিছুটা হলেও উপশম হবে। জেনে নিন সেসব পদ্ধতিগুলো-
১. কোনও চোট পেয়ে ব্যথার সূত্রপাত, নাকি আর্থাইটিস তা বোঝার চেষ্টা করুন। যে কোনও ধরনের ব্যথাই অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এর কারণ জানলে এবং যত্ন নিলে।
২. যদি বেকায়দায় লেগে গিয়ে হাঁটু ব্যথা হয়, তবে সবচেয়ে বেশি জরুরি হলো বিশ্রাম। কয়েকটি দিন কম নড়াচড়া করলেই ব্যথা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। বিশ্রামের সময়ে পা একটু উঁচু জায়গায় রাখুন। তাতে কাজ আরও দ্রুত হবে।
৩. কোথাও ধাক্কা খেয়ে বা পড়ে গিয়ে হাঁটুতে ব্যথা পেলে কাপড়ে জড়িয়ে বরফ দিন। সঙ্গে সেই হাঁটুটি শক্ত করে ক্রেপ ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে রাখুন।
৪. সব সময়ে চোট লেগেই ব্যথা হবে, এমন নয়। হাঁটু ব্যথার একটি বড় কারণ হল ওজন। শরীরের ভার যত বাড়বে, হাঁটুর ওপর তত চাপ পড়বে। তার থেকে ব্যথাও বেশি হবে। এ কারণে ওজন কমানোর চেষ্টা করুন।
৫. হাঁটুতে এক বার ব্যথা হলে সহজে কমতে চায় না। তাই কিছু ব্যায়ামেরও সাহায্য নিন। তাতে ব্যথার এলাকাটি নমনীয় থাকবে। হাল্কা হাঁটাহাঁটি, সাইকেল চালানো কিংবা যোগব্যায়াম— যে কোনোটিই করা যেতে পারে নিয়ম মেনে। তবে চোট লেগে থাকলে এ ধরনের ব্যায়াম শুরুর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি।
৬. হাঁটুতে ব্যথার কারণ যাই হোক, ঠান্ডা-গরম সেঁক দিলে আরাম পাবেন। তবে কখনোই সরাসরি বরফ দেয়া ঠিক নয়। হয় কোনও আইস প্যাক ব্যবহার করুন কিংবা কোনও কাপড়ে বরফ বেঁধে নেবেন। ঠান্ডা সেঁক দেয়ার পরে হাল্কা করে কোনও ব্যথার মলম লাগিয়ে রাখুন। আরাম হবে।
৭. হাঁটু ব্যথার হলে হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করলে বেশ অনেক ক্ষণের জন্য ব্যথা কমবে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply