রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ০৩:৪০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
৭-০ গোলের জয়ে এশিয়ান কাপ বাছাই শেষ করল বাংলাদেশ নারী দল পবিত্র আশুরা জুলুম ও অবিচারের বিরুদ্ধে ন্যায় প্রতিষ্ঠায় মানবজাতিকে শক্তি যোগাবে : প্রধান উপদেষ্টা তথ্যনির্ভর সাংবাদিকতা পুঁজিবাজার উন্নয়নে ভূমিকা রাখে : বিএসইসি গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হবে : প্রেস সচিব সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না: অর্থ উপদেষ্টা ভৈরবে গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার ৩ তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রূপগঞ্জে বিএনপির বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি ও চারাগাছ বিতরণ সারাদেশে অব্যাহত মব সন্ত্রাস, সরকার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি নড়াইলে আরজেএফ অর্থ সচিব ফারুকুল ইসলাম এর স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত কমিউনিটি ব্যাংকের সঙ্গে হোটেল সারিনার ক্রেডিট কার্ড সেবা সংক্রান্ত ব্যবসায়িক চুক্তি স্বাক্ষর

চাকরির নতুন আবেদন ফি বেঁধে দিল সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শুক্রবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৩

সরকারি চাকরিতে আবেদনের ফি বাড়ানো হয়েছে। এক বছরের ব্যবধানে পুনরায় ফি বাড়ানো হলো। নবম গ্রেডের চাকরির আবেদন ফি ৬০০ টাকা এবং এর ওপর সার্ভিস চার্জ ও ভ্যাটসহ পরিশোধ করতে হবে আরও ৬৯ টাকা। এবার পরীক্ষার ফি’র সার্ভিস চার্জের (টেলিটক বাংলাদেশের কমিশন) ওপর ভ্যাট যোগ করে পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরির আবেদন ফি’র ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম প্রযোজ্য হবে। 

সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। উপ-সচিব মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়েছে, অবিলম্বে এ আদেশ কার্যকর হবে। এর সঙ্গে বেশ কয়েকটি শর্তও জুড়ে দেওয়া হয়েছে।

পরিপত্র অনুযায়ী, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন ও পরীক্ষার ফি নেওয়া হবে। পরীক্ষার ফি বাবদ সংগ্রহ করা অর্থের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কমিশন হিসেবে টেলিটককে দিতে হবে এবং কমিশন হিসেবে পাওয়া অর্থের ১৫ শতাংশ ভ্যাট হিসেবে আদায় করা হবে।

পরিপত্র অনুযায়ী, নবম গ্রেডের চাকরিপ্রত্যাশীদের আবেদন ফি হবে ৬০০ টাকা। এর সঙ্গে টেলিটককে সার্ভিস চার্জ হিসেবে ১০ শতাংশ বা ৬০ টাকা দিতে হবে। ৬০ টাকার ওপর ১৫ শতাংশ বা ৯ টাকা ভ্যাট দিতে হবে। অর্থাৎ নবম গ্রেডে চাকরিপ্রত্যাশীদের আবেদন করতে গুনতে হবে মোট ৬৬৯ টাকা।

দশম গ্রেডের চাকরিপ্রত্যাশীদের আবেদন ফি ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর সঙ্গে ৫০ টাকা সার্ভিস চার্জ এবং ৭ টাকা ৫০ পয়সা ভ্যাট দিতে হবে। অর্থাৎ দশম গ্রেডের চাকরির জন্য আবেদন করতে ব্যয় হবে ৫৫৭ টাকা ৫০ পয়সা।

১১ ও ১২তম গ্রেডে আবেদন ফি ৩০০ টাকা। এর সঙ্গে ৩০ টাকা সার্ভিস চার্জ ও ৪ টাকা ৫০ পয়সা ভ্যাট। মোট দিতে হবে ৩৩৪ টাকা ৫০ পয়সা। ১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডের চাকরির আবেদন ফি ২০০ টাকা। এর সঙ্গে সার্ভিস চার্জ ২০ টাকা এবং ভ্যাট ৩ টাকা। মোট দিতে হবে ২২৩ টাকা। ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডের চাকরির আবেদন ফি ১০০ টাকা। এর সঙ্গে ১০ টাকা সার্ভিস চার্জ এবং ১ টাকা ৫০ পয়সা ভ্যাট। মোট দিতে হবে ১১১ টাকা ৫০ পয়সা।

পরিপত্রে কয়েকটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আছে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন ও পরীক্ষা ফি দিতে হবে। পরীক্ষার ফি বাবদ সংগৃহীত অর্থের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কমিশন হিসেবে টেলিটককে দেওয়া হবে। কমিশন হিসেবে পাওয়া অর্থের ১৫ শতাংশ ভ্যাট হিসেবে আদায় করা যাবে।

টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড পরীক্ষার ফি বাবদ অর্থ নেওয়ার পরবর্তী তিন কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাংক চেকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে জমা দেবে। ওই প্রতিষ্ঠান অবিলম্বে চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে তা জমা করবে। তবে, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ওই অর্থ নিজস্ব ব্যাংক হিসাবে জমা করতে পারবে।

অনলাইন আবেদন না নিলে পরীক্ষা ফি বাবদ অর্থ চালানের মাধ্যমে দিতে হবে। তবে, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ব্যাংক ড্রাফট/পে অর্ডারে অর্থ নিতে পারবে।

পরীক্ষার ফি বাবদ আদায় করা অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ১৩ ডিজিট প্রাতিষ্ঠানিক কোড এবং ৭ ডিজিট নতুন অর্থনৈতিক কোড ১৪২২৩২৬ এ অটোমেটেড চালানে সরকারি কোষাগারে জমা করতে হবে।

কোনো প্রতিষ্ঠান ম্যানুয়াল চালানে (টিআর ফরম) পরীক্ষা ফি জমা করতে চাইলে ১-প্রাতিষ্ঠানিক কোড (চার অঙ্ক বিশিষ্ট) পরিচালনা কোড (চার অঙ্ক বিশিষ্ট), অর্থনৈতিক কোডে (২০৩১) জমা করতে হবে।

নতুন এ পরিপত্রের মাধ্যমে ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে জারি করা পরিপত্র বাতিল করা হয়েছে। গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর জারি করা পরিপত্রে নবম গ্রেডের চাকরির আবেদন ফি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়, যা আগে ছিল ৫০০ টাকা।

দশম গ্রেডের চাকরির আবেদন ফি আগের মতো ৫০০ টাকা রাখা হয়। তবে, ১১ ও ১২তম গ্রেডের চাকরির আবেদন ফি ধরা হয় ৩০০ টাকা। আগে গ্রেড দুটির চাকরির আবেদন ফি নির্ধারণ করা ছিল না। ১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডে চাকরির আবেদন ফি বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়। ১৩ থেকে ১৬ তম গ্রেডে চাকরির আবেদন ফি ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডের চাকরির আবেদন ফি ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০ টাকা করা হয়।

সে সময় আবেদন ফি’র সঙ্গে টেলিটকের কমিশন বাবদ ১০ শতাংশ সার্ভিস চার্জ রাখা হয়। তবে, এ কমিশনের ওপর কোনো ভ্যাট ছিল না। এখন নতুন করে কমিশনের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS