পরপর দুই দিন চোখের জলে ভাসিয়ে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছেন নেইমার জুনিয়র ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। বিশ্বজয়ের স্বপ্ন নিয়ে কাতারে এসে ফিরতে হয়েছে শেষ আট থেকে, শূন্য হাতে।
নেইমার গেছেন, রোনালদো গেছেন, কিন্তু লিওনেল মেসি কি পারবেন বিশ্বকাপ ট্রফিটা নিজের করে নিতে? মেসির আর্জেন্টিনার সামনে আর মাত্র ২ ম্যাচ, ১৮০ মিনিট! ১৮০ মিনিট সেরা খেলাটা খেলতে পারলেই যে মেসির হাতে ধরা দেবে অধরা ট্রফি।
সেমিফাইনালে মঙ্গলবার মেসিরা মুখোমুখি হবেন ক্রোয়েশিয়ার। ক্রোট বাধা টপকাতে পারলে ফাইনালের লড়াইয়ে লড়তে হতে পারে ফ্রান্স কিংবা মরক্কোর সঙ্গে। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলা মেসি কি পারবেন নিজের দেশকে ৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘোচাতে?
প্রথম ম্যাচ থেকেই বিশ্বকাপে দুরন্ত মেসি। এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ৪টি, প্রথমবারের মতো নকআউট পর্বে গোলের খরা কাটিয়েছেন। আর গোল করিয়েছেন দুটি। সবগুলো ম্যাচেই খেলেছেন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। এই ৫ ম্যাচে আর্জেন্টিনার গোলে তার অবদান প্রায় অর্ধেক, ৪৬ শতাংশ। অর্থাৎ জয়ে মেসির অবদান ৪৬ শতাংশ আর বাকি ১০জনের অবদান ৫৪ শতাংশ!
সেই দিক থেকে নেইমারও খেলেছেন দারুণ। দুই ম্যাচ খেলতে পারেননি ইনজুরির কারণে। ফিরেছেন নকআউট পর্বে। তিন ম্যাচ খেলে গোল করেছেন দুটি, করিয়েছেন ১টি। ব্রাজিলের গোলে তার অবদান ৩৩ শতাংশ। কোয়ার্টার ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের ১০৫ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল দিয়ে এগিয়ে দিয়েছিলেন। চলতি বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা গোল বলে বিবেচনা করা হচ্ছে এটিকে। কিন্তু শেষ হওয়ার ৩ মিনিট আগে গোল খেয়ে ব্রাজিলকে বিশ্বকাপের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে আরও ৪ বছর।
মেসি-নেইমারের তুলনায় রোনালদোর এই বিশ্বকাপ ছিল ভুলে যাওয়ার মতো। মরক্কোর বিপক্ষে হারতে হয়েছে ১-০ গোলে। রোনালদো প্রথম একাদশে সুযোগ হারিয়েছেন এই বিশ্বকাপে। বিতর্ক ছিল সঙ্গী। বিশ্বকাপের শুরুতে এক বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার দিয়ে ম্যানইউর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে।
রোনালদো ৫ ম্যাচ খেলে গোল দিয়েছেন ১টি। শুরুর একাদশে খেলার হার ৬০ শতাংশ, আর খেলেছেন ৬৪ শতাংশ সময়। গোলে তার অবদান ৮ শতাংশ।
ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের তুলনায় নেইমার-রোনালদো থেকে বেশ এগিয়ে মেসি। আর মাত্র দুটি ম্যাচে এটি ধরে রাখতে পারলেই তাদের মতো চোখের জলে বিদায় নিতে হবে না। নাকি মেসিও হাটবেন সেই পথেই?
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply