দেশের বরেণ্য উদ্যোক্তা কনা রেজা গত ২৬ নভেম্বর ২০২৫ বুধবার ঢাকার হোটেল পূর্বানী ইন্টারন্যাশনাল এর বলরুমে গ্লোবাল এভিয়েশন এন্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন ও বাংলা ইভেন্ট ইন্টারন্যাশনাল এর উদ্যোগে ৩ তিন ব্যাপী ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরিজম ফেয়ার ২০২৫’ অনুষ্ঠানে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরিজম ফেয়ার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিল্প মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব মোঃ ওবায়দুর রহমান, বিশেষ অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. হামিদা খানম, নতুনধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সাবেক অতিরিক্ত সচিব আব্দুস সাত্তার শেখ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ নুরুজ্জামান এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন। কনা রেজা দেশের বাইরে অবস্থান করায় তার পক্ষে অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশ ট্রাব এর সভাপতি সালাম মাহমুদ। অনুষ্ঠানে অন্যান্য ক্ষেত্রে অবদানের জন্য সঙ্গীতশিল্পী ফেরদৌস আরা, চিত্রনায়ক ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম, অতিথি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল, ইউএস বাংলার জেনারেল ম্যানেজার মোঃ কামরুল ইসলাম, ভিস্তা ইলেকট্রনিকস এর পরিচালক এ এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার ডন, কবি ফেরদৌস সালাম, ড. মোঃ সাদী-উজ-জামান, এম এ মোতালেব শরীফ,ইভান শাহরিয়ার সোহাগ, কামরুল হাসান জনি, মোঃ সাঈদ হাসান, বারিশা হক, গৌতম সাহা, সালাম মাহমুদ, মঞ্জুর হোসেন ঈসা, হাফিজ রহমান, এডলফ খান অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হন।
কনা রেজা শিল্প উদ্যোক্তা হিসেবে ঢাকার হোটেল সোনারগাঁও গ্রান্ড বলরুমে ট্রাব বিজনেস অ্যাওয়ার্ড, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রিস্টাল বলরুমে এজাহিকাফ লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডসহ অনেক সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা, লেখক ও সমাজকর্মী। বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য সাংস্কৃতিক পরিবারের মানুষ হয়েও কখনোই মিডিয়াতে নিজের প্রচার-প্রচারণা পছন্দ করেন না। নিজেকে আড়ালে রেখে শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি চর্চা এবং সমাজ ও মানব সেবায় নিবেদিত থাকেন। এক সময় যখন দেশের নারীরা ঘরের গণ্ডি পেরুনোর মতো সাহস করতেন না, সেই সময়ে কনা রেজা ফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ের বিজ্ঞাপন করে নারীদের এগিয়ে যাওয়ার সাহস যোগান। সে সময় গুঁড়োদুধ, পন্ডস ক্রিম এবং ক্যালেন্ডালের মডেলিংসহ নানা বিষয়ে বিজ্ঞাপনের মডেল হয়েছিলেন তিনি। স্কুল কলেজ জীবনে ১৩বার বিভাগীয় পর্যায়ে ভলিবল অ্যাথলেটার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন ছিলেন। ছোটবেলা থেকে সংস্কৃতি অঙ্গনের সঙ্গে জড়িত কনা রেজা একসময় গল্প লিখতেন। তাঁর পিতা একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং মা ছিলেন ডাক্তার। নড়াইলের মেয়ে কনা রেজার জন্ম ও বেড়ে ওঠা খুলনায়। খুলনার সাথে এখন অব্দি রয়েছে তার নিবিড় সম্পর্ক। কনা রেজার পরিবার একটি বিখ্যাত সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক পরিবার। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ফরিদুর রেজা সাগরের সঙ্গে বিয়ের পর তাঁর সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড আরও সম্প্রসারিত হয়। তিনি গভীর সংস্পর্শে আসেন প্রয়াত কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের। শাশুড়ি হিসেবে তাঁর কাছ থেকে পেয়েছেন এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা। আরেক কিংবদন্তি প্রয়াত চলচ্চিত্র সাংবাদিক এবং বাংলাদেশের প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘প্রেসিডেন্ট’ এর পরিচালক ফজলুল হক তাঁর শ্বশুর। এই পরিবার তাঁর সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের পরিধি আরও বাড়িয়ে তোলে। দেশের এ আলোকিত ব্যক্তিত্ব নিজ উদ্যোগে গড়ে তোলেন পানসুপারি নামে অভিনব এক প্রতিষ্ঠান। আটসাঁট মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে একেবারে নিম্নবিত্ত তথা উচ্চবিত্ত পর্যন্ত পানসুপারির ব্যবহার আমাদের দেশে আবহমানকাল থেকে চলে আসছে। আজও বিবাহ অনুষ্ঠান শেষে পানসুপারি হাতে তুলে দেয়া সংস্কৃতির একটি অংশ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। নবাবি আমল মুঘল দরবার থেকে শুরু করে জমিদারি মহল পর্যন্ত পানের বিচরণ ছিল। বাংলাদেশ এবং ভারতের সর্বত্র পান আজও সমাদৃত। যেকোনো বড় অনুষ্ঠানে এর উপস্থিতি সমুজ্জ্বল। কিন্তু এই পানসুপারি যে শিল্পসম্মতভাবে নতুনরূপে, ভিন্ন স্বাদে, ভিন্ন মূল্যে, ভিন্ন সুবাদে, ভিন্ন নামে পানের স্বকীয়তা বজায় রেখে একেবারে ঘরোয়াভাবে বাণিজ্যে আনা যায় তা প্রমাণ করলেন এ আলোকিত মানুষ। ধানমন্ডি, গুলশান, বনানী, বিমানবন্দর এবং বসুন্ধরা শপিং সেন্টারে তার পানসুপারির শো-রুম রয়েছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply