বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম বলেছেন, “ইসমাইল হোসেন আল আমিনকে যারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের বিচার এই মাটিতেই হবে ইনশাল্লাহ। গুম-খুনের রাজ্যত্ব যারা চালু করেছিল, জনগণ তাদের ক্ষমা করবে না।” ২৮ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ২৩ ফ্রী স্কুল স্ট্রিটে সাবেক ছাত্রদল নেতা শহীদ ইসমাইল হোসেন আল আমিনের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ রবিউল আলম আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন- “১৪ বছর আগে ২৮ নভেম্বর সাবেক ৫০, বর্তমান ১৬ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি ইসমাইল হোসেন আল আমিনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে গুম করে। দীর্ঘ ১২ দিন পর ১০ ডিসেম্বর তার লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভেসে ওঠে। সেদিন তার মা শিরিন আক্তার লাশ শনাক্ত করে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করেন। এই হত্যার প্রতিকার অবশ্যই হবে।” তিনি আরও বলেন, অতীতের সব গুম ও রাজনৈতিক হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত দেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মায়ের ডাক এর মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা। তিনি বলেন- “বাংলাদেশে প্রতিটি হত্যার বিচার হবে। গুম হওয়া প্রতিটি সন্তানের মা যেন ন্যায়বিচার পায়—মায়ের ডাক সেই সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে।” তিনি মায়ের ডাক এর প্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক, ঢাকা–১৪ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সানজিদা ইসলাম তুলির পক্ষ থেকে সকলের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানান।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কলাবাগান থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুর রহমান সাঈদ, রাজিয়া সুলতানা জয়া, কবি ও সাহিত্যিক ফিরোজ আহমেদ হিরু, শহীদ আল আমিনের সন্তান সায়েম, তার মামা আবদুল খালেক, অন্যান্য স্থানীয় নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্খিরা। সভাপতিত্ব করেন শহীদ ইসমাইল হোসেন আল আমিনের মা শিরিন আক্তার।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, “ইসমাইল হোসেন আল আমিন কোনো অপরাধী ছিলেন না। তিনি ছিলেন আদর্শবান ছাত্রনেতা। তাকে হত্যা করে একটি পরিবারকে ধ্বংস করা হয়েছে।” অনুষ্ঠানে তার রাজনৈতিক অবদান, তৎকালীন আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা এবং ব্যক্তিগত চরিত্রের উজ্জ্বল দিকগুলো তুলে ধরা হয়। শেষে ইসমাইল হোসেন আল আমিনের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করা হয়। পরিবার, রাজনৈতিক সহকর্মী ও উপস্থিত সকলেই অশ্রুসিক্ত হয়ে তার আত্মার শান্তি কামনা করেন।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply