আগের ম্যাচে ব্যাট হাতে ঝড় চালানোর পর লঙ্কা টি-টেনের এলিমিনেটরেও দেখা গেলো সাকিব আল হাসানের বিধ্বংসী ব্যাটিং। বিপদের মুহূর্তে এক ওভারে তিনটি ছক্কা, পাঁচ বলের মধ্যে একাই ২০ রান তুলে গল মার্ভেলসের জয় একপ্রকার নিশ্চিত করেছেন তিনি। পরে টানা দুই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে কোয়ালিফায়ার টু-তে তুলেছেন সাকিব আল হাসান।
জয় যেখানে কঠিন মনে হচ্ছিল, সেখানেই ১০ বল হাতে রেখে সাকিবের কল্যাণে ম্যাচ জিতলো গল। মাত্র ৮ বলে ২৯ রান করেছেন বাংলাদেশি এই ক্রিকেটার। তিনটি ছক্কা ও দুটি চারের ইনিংসে তার স্ট্রাইকরেট ৩৬২.৫।
ম্যাচের সপ্তম ওভারের ঘটনা। জেতার জন্য গল মার্ভেলসের দরকার ২৪ বলে ৩৯ রান। তখন তিন নম্বর উইকেট পড়লে উইকেটে আসেন সাকিব। প্রথম বলে নেন সিঙ্গেল। সেই ওভারে আরও এক উইকেট হারায় গল। আসে ৬ রান।
নিজের খেলা দ্বিতীয় বলে ফাইন লেগের ওপর দিয়ে ছক্কা মারেন সাকিব। পরের বলে দৌড়ে নেন দুই রান। নিজের খেলা পঞ্চম বলে কাউ কর্নার দিয়ে মারলেন ছক্কা। এখানেই শেষ নয়, ওভারের শেষ বলেও আরও এক ছক্কায় দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যান সাকিব। ১২ বলে তখন দরকার ১২ রান।
নবম ওভারে চামিন্দু বিক্রমাসিংহে ছক্কা মেরে সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক দেন সাকিবকে। পরপর দুই বলে দুই চার মেরে দলকে জিতিয়ে মাথা উচু করে মাঠ ছাড়েন এই টাইগার ক্রিকেটার। এলিমিনেটর ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১০ ওভারে ১২০ রান তোলে ক্যান্ডি বোল্টস, যা ৮.৪ ওভারের মধ্যেই পেরিয়ে যায় গল।
ক্যান্ডির হয়ে ২৭ বলে পাঁচটি চার ও চারটি ছক্কায় ৬১ রান করেন দলটির স্কটিশ রিক্রুট জর্জ মানজি। ১৪ বলে ৩০ রান করেন দীনেশ চান্দিমাল। এ ছাড়া নয় বলে ১৫ রান আসে পাথুম নিশাঙ্কার ব্যাটে। আর সাকিবের দলের হয়ে ২১ বলে ৪২ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেন ভানুকা রাজাপাকশে। ইনিংসে ছিল চারটি চার ও তিনটি ছক্কার মার। এ ছাড়া লাহিরু উদানা ১২ বলে ১৯ এবং অ্যালেক্স হেলস ৫ বলে ১৬ রান করে আউট হন।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply