অবশেষে একযোগে সব পোশাক কারখানায় সব ধরনের নতুন নিয়োগ বন্ধের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিলো বিজিএমইএ। একই সঙ্গে ‘নো ওয়ার্ক, নো পে’র পথে হাঁটতে কারখানা মালিকদের নির্দেশ দিয়েছে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠনটি।
একদিকে যুদ্ধ আর উচ্চ মূল্যস্ফীতির ফাঁদ অস্থিরতা কাটছে না বিশ্ববাজারে। অন্যদিকে রপ্তানি আয় ও ক্রয়াদেশ কমতে থাকার মধ্যেই বেশ কিছুদিন ধরে শ্রমিক অসন্তোষসহ অস্থিতিরতা বিরাজ করছে দেশের তৈরি পোশাক শিল্পে।
জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতায় পোশাক শিল্পকে বিপর্যয়ে ঠেলে দেয়া হচ্ছে বলে দাবি করে আসছিলেন শিল্প মালিকরা। আর এবার তারা হাঁটলেন কঠোর পথে।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাতে সংগঠনটির সদস্যদের উদ্দেশে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে মালিকপক্ষের শক্ত অবস্থানের কথা জানায় বিজিএমইএ।
জানানো হয়, শুধু নতুন নিয়োগই বন্ধ রাখা হবে না- কোন কারখানায় শ্রমিকরা কাজ না করলে শ্রম আইনের ১৩’র ১ ধারা অনুযায়ী কারখানাটি বন্ধ রাখা হবে। এই ধারা অনুযায়ী বন্ধ করা মানে যে কয়দিন কারখানা বন্ধ থাকবে সেই কয়দিনের বেতন পাবেন না শ্রমিকরা।
এর কারণ হিসেব ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি, রুশ-ইউক্রেন ও ফিলিস্তিন ইসরাইল যুদ্ধ ইত্যাদি কারণে ক্রয়াদেশ কমে যাওয়া ও সম্প্রতি শ্রমিক অসন্তোষ, কারখানার কাজ বন্ধ, শ্রমিক-কর্মচারীদের মারধর, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও মালামাল লুটপাটের মতো জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় শিল্প মালিকদের সমন্বয়ে এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসানের সভাপতিত্বে ওই বসা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও বর্তমান ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মুর্শেদী, বিজিএমইএ’র জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এস এম মান্নান কচি।
যে সব কারখানায় অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর বা মারামারির ঘটনা ঘটেছে প্রমাণস্বরুপ ছবি বা ভিডিও ফুটেজসহ জ্ঞাত ও অজ্ঞাত পরিচয় উল্লেখ করে থানায় মামলা করা এবং সব ধরনের প্রমাণাদি বিজিএমইএ’তে পাঠানোরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply