
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের জেলা ভিত্তিক প্রতিনিধির সমন্বয়ে ১৩ ডিসেম্বর শনিবার সকালে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে এডভোকেট মোঃ ইসলাম আলীর নেতৃত্বে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ভিত্তিতে গণঅভ্যত্থানের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবকে প্রধান উপদেষ্টা করে যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে এবং উক্ত সরকার কর্তৃক জনগণের গণতন্ত্র উত্তোরণে যে সমস্ত সংস্কার কার্যক্রম চলছে তার প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন পূর্বক দুই কোটিরও অধিক মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক অধিকারের প্রশ্নে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে প্রতি বিভাগ হতে মৎস্যজীবী অধ্যষিত জেলা থেকে ২ জন করে সংরক্ষিত আসনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে দাবী উপস্থাপন করা হয় এবং উক্ত দাবীর সমর্থনে সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংস্কারের দাবী জানানো হয়। উক্ত সম্মেলনে বিভিন্ন জেলা হতে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট মোঃ ইসলাম আলী, সোলেমান মিয়া, সুরুজ্জামান, মোঃ শফিকুল ইসলাম মিন্টু, খোকন বেপারী, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক দেওয়ান, বীরমুক্তিযোদ্ধা গুরুদাস হালদার, মোঃ মানিক মিয়া দেওয়ান, মোঃ তসলিম বেপারী, ইকবাল হোসেন, রফিকুল ইসলাম, মোঃ আবু সালেহ ফরাজী, মোঃ জয়নাল আবেদীন, মোঃ আবুল কাসেম, এসএম লুৎফর রহমান, মোঃ নাহিদ উদ্দিন, নূরুল করিম রতন, শ্রী নারায়ন চন্দ্র বিশ্বাস, শ্রী নীল কমল হালদার প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এডভোকেট মোঃ ইসলাম আলী বলেন, দেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম সম্প্রদায় মৎস্যজীবী জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক অধিকারের আবশ্যকতা রয়েছে। বর্তমানে দেশে কম করে হলেও হিন্দু-মুসলিম এর সমন্বয়ে দুই কোটিরও বেশী রয়েছে মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা। যদিও অতীত থেকে মোট জনসংখ্যার এক দশমাংশ মৎস্যজীবী হিসাবে বলা হয়ে থাকে। এই সম্প্রদায়ের লোকজনের বাসস্থান বিচ্ছিন্নভাবে থাকায় তারা স্বাভাবিক নির্বাচনে অংশ গ্রহনে প্রতিনিধি হয়ে আসার সুযোগ নাই। যার মূল কারণ হলো আমাদের সমাজে সাংস্কৃতিক বৈষ্যমের কারন। যে কারনে রাজনীতিতে উপযুক্ত হলেও নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে আসার সম্ভাবনা সুদূর পরাহত। তাই আমরা মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের আজকের এই প্রতিনিধিত্ব মূলক সংবাদ সম্মেলনে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের নিকট জাতীয় সংসদে মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের জন্য জনসংখ্যার অনুপাতে প্রত্যেক বিভাগ হইতে দুইজন করে সংরক্ষিত আসন রাখার জোর দাবী জানান।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply