নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জমি দখলের চেষ্টা, ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে আওয়ামী দোসর ইসমাইলসহ তিনজনকে প্রধান করে অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ধর্মগঞ্জ এলাকার মোঃ হাবিবুর রহমান নামের এক ভুক্তভোগী। অভিযোগকারীর দাবি, ইসমাইল রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহারকারী এবং তার ছেলে স্থানীয় ছাত্রলীগের ক্যাডার হিসেবে আওয়ামী শাসনামলে এলাকায় বিভিন্ন সময় বেপরোয়া আচরণ ও সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়ে এসেছে।
হাবিবুর রহমান থানায় দাখিলকৃত লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, বক্তাবলী মৌজার তফসিলভুক্ত জমিটি তিনি খরিদসূত্রে মালিকানা প্রাপ্ত হয়ে নিয়মিত খাজনা পরিশোধসহ ভোগদখলে রেখেছেন। দীর্ঘদিন ধরে বিবাদী ইসমাইল (৪২), তার ছেলে ইয়ামিন আহমেদ (১৯), সহযোগী ছাহিদ সেকান্দার (২০) ও অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জন তার জমি দখলের জন্য নানাভাবে হুমকি ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে আসছে।
অভিযোগকারী হাবিবুর রহমান জানান, সম্পত্তি এলাকায় গেলে বিবাদীরা প্রায়ই তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধরের হুমকি দেয়। এমনকি তাকে জীবননাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন পূর্বে বিবাদীরা রাতে তার অজ্ঞাতসারে জমিতে গিয়ে বালু ভরাট করে। বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্যদের জানানো হলে বিবাদীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ২৪ নভেম্বর (সোমবার) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ইসমাইল, ইয়ামিন, ছাহিদসহ তাদের সহযোগীরা তার জমিতে গিয়ে আইল নির্মাণ শুরু করে। তিনি বাধা দিলে বিবাদীরা তাকে গালিগালাজ ও হত্যার হুমকি দেয় এবং কোনোদিন জমির দাবি করলে তাকে ও তার পরিবারকে ‘শেষ করে দেওয়ার’ হুমকি দেয় বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
তফসিলভুক্ত জমির বিবরণে বক্তাবলী মৌজার বিভিন্ন দাগে মোট ৪০ শতাংশ জমির ওপর বিবাদীদের দখলচেষ্টা চলমান বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে, ইসমাইলের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলন চলাকালে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগে ১৮ অক্টোবর তাকে গ্রেফতার করেছিল ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। ওই মামলার নং- (৩৫/৪৫২, তাং ২৯/৮/২৪) এজাহারে তিনি ৩৫ নম্বর আসামী হিসেবে নামীয় ছিলেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
স্থানীয়দের মতে, ইসমাইলের রাজনৈতিক প্রভাব ও তার ছেলের সংগঠন-সংশ্লিষ্টতার কারণে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ রেহানুল ইসলাম জানান, অভিযোগটি গ্রহণ করা হয়েছে এবং আইন অনুযায়ী তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply