ফরচুন বরিশালের হয়ে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মাঠে নেমে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন তামিম ইকবাল। ৪৫ বলে ৭১ রানের ইনিংসে তামিম মেরেছেন চারটি ছক্কা। আর তাতেই দেশীয়দের মধ্যে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে বিপিএলে ১০০ ছক্কার মাইলফলক স্পর্শ করেন তামিম।
বুধবার ঢাকার বিপক্ষে যখন তামিম দ্বিতীয় ছক্কাটি হাঁকান, তখনই ১০০ ছক্কার মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। বাংলাদেশের এই ড্যাশিং ওপেনারের বিপিএলে ছক্কা এখন ১০৩টি। তার ওপরে আছে শুধুই ক্রিস গেইল। বিপিএলে ক্যারিবীয় এই ব্যাটারের ছক্কা ১৪৩টি।
বিপিএলে ছক্কার দিকে দেশীয়দের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ইমরুল কায়েস। ৯৭টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। মুশফিকুর রহিমও ৯৭ ছক্কা মেরেছেন। আর ৯৫ ছক্কা মেরে তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন আরেক দেশীয় ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এদিকে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে প্রথমে ব্যাটিং করে তামিম ও সাইফউদ্দিনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ১৮৬ রানের বড় সংগ্রহ পায় ফরচুন বরিশাল। জবাব দিতে নেমে হারের পথেই রয়েছে ঢাকা।
নাম | ছক্কার সংখ্যা |
ক্রিস গেইল | ১৪৩ |
তামিম ইকবাল | ১০৩ |
ইমরুল কায়েস | ৯৭ |
মুশফিকুর রহিম | ৯৭ |
মাহমুদউল্লাহ | ৯৫ |
নিজেদের হারের রেকর্ড আরও সমৃদ্ধ করার সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করল না দুর্দান্ত ঢাকা। ঘরের মাঠে তামিম ইকবালের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পর বল হাতে আরও একবার জ্বলে উঠলেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। অ্যালেক্স রস একাই যা একটু চেষ্টা করলেন। তাতেও বড় হারের লজ্জা নিয়েও মাঠ ছাড়তে হলো ঢাকাকে। দারুণ জয়ে পয়েন্ট তালিকায় নিজেদের অবস্থান আরও একটু ভালো করলো ফরচুন বরিশাল।
বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের খেলায় বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুর্দান্ত ঢাকাকে ২৭ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। এদিন টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবালের ৪৫ বলে ৭১ রানের ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত ঢাকা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করতে সমর্থ হয়। অ্যালেক্স রস একাই ঝড় তুলে ৪৯ বলে ৮৯ রান করে অপরাজিত থাকেন।
চট্টগ্রাম পর্বে বিপিএলে চলছে রানবন্যা। সে হিসেবে ফরচুন বরিশালের দেয়া ১৮৭ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে জয় পাওয়া ঢাকার জন্য কঠিন হলেও অসম্ভব মনে হচ্ছিল না। কিন্তু শুরু থেকেই আসা-যাওয়ার মিছিলে নাম লেখানো ঢাকার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় সহজেই জয় পেয়েছে বরিশাল। সৌম্য সরকারের করা শেষ ওভারে অ্যালেক্স রস তাই ২৩ রান নিলেও তাতে হারের ব্যবধানই কমেছে শুধু।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই আগ্রাসী রূপে হাজির হন মোহাম্মদ নাঈম। কিন্তু তার এই আগ্রাসন মাত্র ৪ বল স্থায়ী হয়। কেশব মহারাজের বলে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ঢাকার এই ওপেনার। পরের ওভারেই মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন অ্যাডাম রশিংটনকে (৪) উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন। একই ওভারের পঞ্চম বলে সাইফ হাসানকেও (২) ফিরিয়ে দেন সাইফ।
২৪ রানের জুটি গড়ে ম্যাচে ফেরার আশা জাগাচ্ছিলেন অ্যালেক্স রস ও শন উইলিয়ামস। কিন্তু ১২ রান করা উইলিয়ামসকে আউট করেন খালেদ আহমেদ। আর ৯ রান যোগ হতেই মেহরবকেও বিদায় করেন খালেদ।
মোসাদ্দেকের (৮) সঙ্গে ২৪ রানের আরও একটা জুটি গড়েন রস। কিন্তু তৃতীয় শিকার হিসেবে তাকেও ফিরিয়ে দেন খালেদ।
অষ্টম উইকেট জুটিতে রস ও তাসকিন মিলে ৪৬ রান যোগ করেন। যেখানে তাসকিনের অবদান ১০ রান। ম্যাচ জুড়ে ঢাকাকে একাই টানার কাজটা আসলে করেছেন রসই। সাইফের বলে তাসকিন ফিরতেই আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন রস।
শেষ ওভারে সৌম্য সরকারের ওপর ঝড় বইয়ে দেন রস। পরাজয় নিশ্চিত জেনেও যতটা পারা যায় রান তুলে নেওয়ার চেষ্টা চালান তিনি। সে ওভারে ৩ ছয় ও ১ চারে ২৩ রান নেন রস। শেষ পর্যন্ত ৫ চার ও ৭ ছয়ে ৮৯ রানে অপরাজিত থাকেন রস।
বরিশালের পক্ষে খালেদ আহমেদ ৪ ওভারে মাত্র ২৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও ৩১ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট শিকার করেন। এছাড়া কেশব মহারাজ ও ওবেদ ম্যাকয় একটি করে উইকেট পান।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply