চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৭ উইকেটের দাপুটে জয়ে টেবিলের তিনে উঠে এসেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বল হাতে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে ম্যাচসেরা হয়েছেন তানভীর ইসলাম।
বিপিএলে শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ৩ উইকেট হারিয়ে ৬৪ বল হাতে রেখেই চট্টগ্রামের দেয়া ৭৩ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কুমিল্লা।
সহজ লক্ষ্য তাড়ায় নেমে এদিনও ব্যর্থ হন লিটন দাস। কুমিল্লার অধিনায়ক চলতি আসরে এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৪ রানের ইনিংস খেলেন ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে। আর আজকে করেন মাত্র ২ রান। তাকে সাজঘরে ফেরান বিলাল খান। এদিন ব্যর্থ হয়েছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনও। তিনি ৫ বলে ৫ রান করে আল আমিন হোসেনের শিকার হন। তবে ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ঠাণ্ডা মাথায় খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। ২৪ বলে ২ চারের মারে ১৬ রান করেন তিনি।
তবে ম্যাচ দ্রুত শেষ করার বড় কৃতিত্ব তাওহিদ হৃদয়ের। এদিন ১৩ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। দল যখন জয় থেকে মাত্র ৭ রানে দূরে তখন জিয়াউর রহমানের শিকার হন হৃদয়। ৫ বলে ৪ রানে দলের জয় নিশ্চিত করে রিজওয়ানের সঙ্গে মাঠ ছাড়েন রেইমন রেইফার।
তাতে ৭ উইকেটের দাপুটে জয়ে রংপুর রাইডার্সকে হটিয়ে টেবিলের তিনে উঠে এসেছে কুমিল্লা। বাজে হারে টেবিলের শীর্ষে ওঠার সুযোগ নষ্ট করেছে চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রামের ব্যর্থতায় বড় দায়টা অবশ্য ব্যাটারদেরই। আগের ম্যাচে ফিফটি করা তানজিদ হাসান তামিম এদিন রানের খাতা খোলারই সুযোগ পাননি। ইনিংস শুরুর দ্বিতীয় বলে রেইমন রেইফারকে ডাইভ খেলতে গিয়ে পয়েন্টে থাকা ফিল্ডার তাওহিদ হৃদয়ের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
শুরুর ধাক্কা সামলে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন আভিষ্কা ফার্নান্দো ও টম ব্রুস। তবে তাদের সুযোগ দেননি তানভীর। চতুর্থ ওভারে আক্রমণে এসে ঘূর্ণিতে পরাস্ত করেন আভিষ্কাকে। ৯ বলে ৭ রান করে ফেরেন এ লঙ্কান। দলীয় ২১ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। এরপর ক্রিজে এসে স্থায়ী হতে পারেননি শাহাদাত হোসেন দীপু (৯) ও সৈকত আলী (০)। দলীয় ৩৫ রানে ৪ বলের ব্যবধানে দুজনকেই সাজঘরে ফেরান তানভীর।
৪ চারের মারে ২০ বলে ২৭ রান করে এ স্পিনারের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হন ব্রুসও। তানভীরের ঘূর্ণিতে চূর্ণবিচূর্ণ চট্টগ্রামের ইনিংসের মেরামত করতে পারেননি আর কোনো ব্যাটার। তাদের সে সুযোগই দেননি আল ইসলাম, আমের জামালরা। এক নাজিবউল্লাহ জাদরানের ১১ রানের ইনিংস ছাড়া বাকিদের কেউ দুই অঙ্কের ঘরেই প্রবেশ করতে পারেননি। তাতে মাত্র ৭২ রানে গুঁড়িয়ে যায় চট্টগ্রাম। তাতে আগের ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে ৮ রানে হারা কুমিল্লা ঘুরে দাঁড়াতে পেয়েছে সহজ লক্ষ্য।
৪ ওভার বল করে এক মেডেনসহ মাত্র ১৩ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন তানভীর। এক মেডেনসহ ১৪ রান খরচায় ২ উইকেট নেন আল ইসলাম।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply