বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:২৩ অপরাহ্ন

চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষক লাঞ্ছিত-ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

মোঃ আব্দুল্লাহ হক
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৩

চুয়াডাঙ্গা রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক লাঞ্ছিত ঘটনায় গঠিত তদন্ত টিমের কার্যক্রম দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। আজ-কালের মধ্যে প্রতিবেদন পেশ করা হতে পারে। অপরদিকে গতকাল দুপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে শিক্ষকসহ ছাত্রীরা বিক্ষোভ প্রদর্শনের পাশাপাশি মানববন্ধন করে। 

একাধীক সহপাঠি পরীক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, নকল নয়, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে একজন পরীক্ষার্থী পেছনের বেঞ্চে হাত দিয়ে হেলান দেয়ার জের ধরে খাতা কেড়ে নেয়া এবং শিক্ষকের নিকট খাতা চাওয়ার সময় শিক্ষকের কটুক্তির ঘটনা ঘটে। এরপর ঘটে শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনা। শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনার পর পরই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ উপস্থিত শিক্ষকমণ্ডলী বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসকের নিকট ঘটনার বর্ণনা দিয়ে প্রতিকার প্রার্থনা করেন। এর প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটিকে প্রধান করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন জেলা প্রশাসক। এ কমিটির তদন্ত কার্যক্রম চলমান। অপরদিকে ছাত্রের পিতা ঘটনা শুনে তৎক্ষণাত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে উপস্থিত হন। প্রধান শিক্ষকের নিকট থেকে ঘটনা শুনে দুঃখ প্রকাশ করেন। সন্ধ্যার পর বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তনে ওই শিক্ষার্থীকে সাথে নিয়ে শিক্ষার্থীর পিতা পুনরায় উপস্থিত হন। প্রধান শিক্ষকের নিকট শিক্ষার্থীকে সোপর্দ করেন। অভিভাবক হিসেবে শিক্ষার্থীর পিতা ক্ষমাও চান। শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষকসহ উপস্থিত শিক্ষকদের নিকট ক্ষমা প্রর্থনা করে এ ধরণের ঘটনা আর কোনদিন হবে না মর্মে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। প্রধান শিক্ষক ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীকে মানুষের মত মানুষ হওয়াসহ বেশ কিছু উপদেশ দেন। লাঞ্ছিত শিক্ষক ওই সময় উপস্থিত না থাকার কারণে সকালে পুনরায় ছেলেকে নিয়ে বিদ্যালয়ে আসার কথা বলা হয়। পরদিন সকালে (সোমবার) আকস্মিক ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মণ্ডলী কর্মবিরতীর ঘোষণা দেন। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শিক্ষকদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। বিদ্যালয়ে পরীক্ষা গ্রহণের কার্যক্রম শুরু হয়। অপরদিকে প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে সদর থানায় একটি অভিযোগ পেশ করেন। এদিকে গতকাল দুপুরে বালিকা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ছাত্রীদের সাথে নিয়ে শিক্ষকেরা বিক্ষোভ বের করে শহীদ হাসান চত্ত্বর পরীদর্শণ শেষে বিদ্যালয়ের সামনে স্বল্প সময়ের জন্য মানববন্ধন করেন।

যেহেতু বিদ্যালয়ের যে শিক্ষার্থী শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেছে তার বয়স বিবেচনায় অপ্রাপ্ত বয়স্ক (শিশু)। দশম শ্রেণীর ছাত্র। লাঞ্ছিত শিক্ষকেরও পরিচয় প্রকাশে মর্যদার বিষয় রয়েছে। এ কারণে প্রতিবেদনে উভয়ের পরিচয় প্রকাশ থেকে বিরত থাকা হলো। তবে গত দুদিন ধরে বিদ্যালয়ের সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত শিক্ষার্থী কর্তৃক শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার ফুটেস সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS