গরম ভাতের সঙ্গে এক চামচ ঘি খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। ঘি শুধু স্বাদে এবং গন্ধে অতুলনীয় নয়, এর স্বাস্থ্যগুণও রয়েছে অনেক। ওজন কামানো থেকে শুরু করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা সব ক্ষেত্রেই ঘিয়ের উপকারিতা আছে।
ঘি রান্নার স্বাদ বৃদ্ধি করে। ঘি-তে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন, খনিজ রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পাশাপাশি শরীরের প্রতিটি পেশি শক্তিশালী করে, মেদ ঝরায়, হাড় মজবুত করে, শরীরের প্রতিটি কোষ সচল রাখে। অনেকের ধারণা, ঘি খেলেই ওজন বাড়ে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে পরিমাণ মতো ঘি খেলে ওজন বাড়ে না, বরং কমে।
জানা গেছে, ঘিতে রয়েছে চর্বি-দ্রবণীয় ভিটামিন। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এটি হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে। স্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরল বজায় রাখতেও ঘিয়ের উপকারিতা অনেক। এ ছাড়াও ঘির আরও অনেক উপকারিতা আছে।
ওজন কমায়–
ঘিতে থাকা লিনোলিক অ্যাসিড স্থূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে। এটি অপরিহার্য অ্যামিনো অ্যাসিড, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ডকোসাহেক্সায়েনোইক অ্যাসিড (ডিএইচএ) এবং ওমেগা-৬ (সিএলএ) দ্বারা পরিপূর্ণ। ঘি এর স্বাস্থ্যকর চর্বি শরীরের অতিরিক্ত চর্বি দূর করে। ঘি চর্বি কোষ পুড়িয়ে শরীরে অতিরিক্ত শক্তি যোগায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে–
চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন প্রতিদিন প্ররিমাণ মতো দুধ ও ঘি খাওয়ার। কেননা দুধ এবং ঘি কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য একটি কার্যকর প্রতিকার। এক কাপ গরম দুধে এক বা দুই চা চামচ ঘি মিশিয়ে ঘুমানোর আগে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
হাড় মজবুত করে–
ঘিতে আছে ভিটামিন কে। এটি ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে ও হাড়কে করে মজবুত। দাঁতের ক্ষয় রোধেও সাহায্য করে ঘি। এ ছাড়া বাত ও জয়েন্টের ব্যথা কমাতে ঘি সহায়ক। ঘি খেলে এই সব ব্যথা কমতে পারে।
চুলের জন্য ঘি–
ঘি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এটি চুলে লাগালে মাথার ত্বকের আর্দ্রতা লক করতে পারে। ঘি মাথার ত্বককে মসৃণ রাখে। ঘি ব্যবহারে চুলে কম তেল লাগে। চুল দেখায় আরও প্রাণবন্ত। এ ছাড়া ঘি মাথায় নিয়মিত লাগালে নতুন চুল ওঠাও শুরু হয়।
ত্বকের পুষ্টি–
ত্বকের জন্য ঘি পুষ্টিকর এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। ঘি আপনার ত্বককে নরম ও কোমল করবে। এটি সব ধরনের ত্বকের জন্য উপযোগী। ত্বকের কোষকে হাইড্রেশন প্রদান করে। একটি পাত্রে দুই টেবিল চামচ বেসন, ঘি এবং পানি মিশিয়ে নিন। মাস্কটি ২০ মিনিটের জন্য মুখে লাগান। মুখের জেল্লা বাড়াতে সপ্তাহে ৩ দিন মাস্কটি লাগান।
ঘি খাওয়ার উপকারিতা–
ঘিতে কনজুগেটেড লিনোলিক অ্যাসিড থাকে। যা পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট যা চর্বি কমাতে সাহায্য করে। দুগ্ধজাত উপাদানে যাদের অ্যালার্জি বা সংবেদনশীলতা রয়েছে তাদের জন্য ঘি, মাখনের চেয়ে ভাল। চেষ্টা করুন প্রতিদিন এক বা দুই টেবিল চামচ ঘি খাওয়ার।
-বি-বডিওয়াইস
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply