শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন

যে ৫ খাবার দ্রুত রোগ প্রতিরোধশক্তি কমিয়ে দেয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

আমরা না জেনে অনেক খাবারই খেয়ে থাকি যা আমাদের রোগ প্রতিরোধশক্তি কমিয়ে দেয়। আর এর প্রভাবে শরীরে নানা রকমের বিরূপ প্রভাব পড়ে। আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি। তাই সুস্থ থাকতে আমাদের খাদ্য তালিকার দিকে নজর দেয়া উচিত।

চলুন জেনে নিই কোন ৫ খাবার খেলে দ্রুত রোগ প্রতিরোধশক্তি কমে যেতে পারে।

কেক/পেস্ট্রি

কেক/পেস্ট্রিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে স্নেহপদার্থ আর চিনি। এ ছাড়া এতে রয়েছে ময়দাও। আর মানব শরীরের জন্য এ সবকটি উপাদানই ক্ষতিকর। তাই চেষ্টা করুন কেক/পেস্ট্রি যতটা সম্ভব না খাওয়ার।

No description available.

ভাজাপোড়া

যেকোনো ভাজা খাবারে অনেক পরিমাণ তেল থাকে। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না। এ ছাড়া ভাজা খাবারে এতটাই স্নেহপদার্থ থাকে, যা শরীরের উপর খুবই ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

No description available.

লবণাক্ত খাবার

চিপস, হিমায়িত খাবার এবং ফাস্ট ফুডের মতো লবণাক্ত খাবার আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করতে পারে, কারণ উচ্চ লবণের খাবার টিস্যু প্রদাহকে ট্রিগার করতে পারে এবং অটোইমিউন রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

২০১৬ সালের এক গবেষণায় ৬ জন সুস্থ পুরুষ প্রথম ৫০ দিনের জন্য প্রতিদিন ১২ গ্রাম লবণ গ্রহণ করেছিলেন। এর পরে প্রায় ৫০ দিন প্রতিদিন ৯ গ্রাম লবণ খাওয়া এবং তারপর একই সময়কালের জন্য প্রতিদিন ৬ গ্রাম খাওয়া হয়েছে। অবশেষে, তারা আরও ৩০ দিনের জন্য প্রতিদিন ১২ গ্রাম গ্রহণ করেছে।

আর দেখা গেছে,  প্রতিদিন ১২ গ্রাম উচ্চ লবণযুক্ত খাবারে পুরুষদের উচ্চ স্তরের শ্বেত রক্তকণিকা ছিল যাকে বলা হয় মনোসাইট এবং প্রদাহজনক চিহ্নিতকারী আইএল ২৩ এবং আইএল ৬। তাদেরও কম অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি প্রোটিন আইএল ১০ ছিল, যা অত্যধিক ইমিউন প্রতিক্রিয়া নির্দেশ করে।

লবণ স্বাভাবিক ইমিউন ফাংশনকে বাধা দিতে পারে, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি প্রতিক্রিয়া দমন করতে পারে, অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া পরিবর্তন করতে পারে এবং অটোইমিউন রোগের প্যাথোজেনেসিসে জড়িত ইমিউন কোষের প্রজন্মকে উন্নীত করতে পারে। অতিরিক্ত লবণ খাওয়া আলসারেটিভ কোলাইটিস, ক্রোনস ডিজিজ, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এর মতো রোগ হতে পারে।

No description available.

চর্বি সমৃদ্ধ খাবার-

আমাদের শরীরের কাজ করার জন্য ওমেগা ৬ এবং ওমেগা ৩ ফ্যাট উভয়ই প্রয়োজন। পশ্চিমা খাবারে ওমেগা ৬ ফ্যাট বেশি এবং ওমেগা ৩ কম থাকে। এই ভারসাম্যহীনতা বর্ধিত রোগের ঝুঁকি এবং সম্ভবত ইমিউন কর্মহীন করে।

গবেষকরা বলেন, আপনি ওমেগা ৬ এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটের একটি স্বাস্থ্যকর ভারসাম্য বজায় রাখুন।

No description available.

কোমল পানীয়-

অনেকেই এমন আছেন যারা খাবারের পর কোমল পানীয় না খেলে মনে করেন খাওয়া সম্পূর্ণ হয়নি। রীতিমতো অভ্যাস করে ফেলেছেন। এমন ক্ষেত্রে আপনার সচেতন হওয়া উচিত। এবং চেষ্টা করা উচিত কোমল পানীয় পরিহার করার। এতে রয়ে চিনি, রং যা আমাদের স্বাস্থ্যের পের বিরূপ প্রভাব ফেলে। কোমল পানীয় খাওয়ার ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।

No description available.

-হেলথলাইন

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS