হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে গরুর চামড়া উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে নিরীহ কৃষকদের বিভিন্নভাবে হয়রাণি ও হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে পুলিশ এবং জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে। তবে এ নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে পুলিশ বলছে, কাউকে হয়রানি বা হেনস্তা করা হচ্ছে না, বরং গরুর চামড়া উদ্ধারের রহস্য উদঘাটনের জন্য তথ্য জানতে ওইসব কৃষকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এ ছাড়া স্থানীয় জন প্রতিনিধি পুলিশের কাছে গ্রামের দুই ব্যক্তির নামে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বলেন, গরুর চামড়া উদ্ধারের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। অভিযোগে জানা যায় সম্প্রতি চুনারুঘাট উপজেলার রেমা চা বাগান থেকে গরু চুরি হয়। কিছুদিন পর গাজিপুর ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামের মানিক মিয়ার বেগুন জমিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় গরুর চামড়া দেখতে পান স্থানীয় মেম্বারসহ কয়েকজন।
এদিকে এ ঘটনায় রেমা বাগানের শ্রমিক মিজান মিয়া গরু চুরির বিষয়ে চুনারুঘাট থানায় অভিযোগ দিলে চামড়া উদ্ধারের রহস্য উদঘাটনে তদন্তে নামে পুলিশ বড়জুম, কোনাগাঁও, শনখলা, কাটুয়ামারাসহ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দা মাসুক, মানিক মিয়া, কদ্দুছ মিয়া, আল আমিন, সোহেল, হারুন,
মরম আলী নামের কয়েকজন কৃষক জানান এসআই লিটন রায় কয়েকদিন পর পর তাদের বাড়িতে গিয়ে কিংবা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তাদের বলেন। যারা যোগাযোগ করে তাদের বাড়ি পুলিশ যায় না। তারা বলেন, আমরা কৃষক। খোয়াই নদের পাড়ে জমিতে কৃষিকাজ করে আমরা জীবিকা নির্বাহ করি। গরু চুরি বা চামড়া উদ্ধারের বিষয়ে আমাদের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ করা হয়নি, অথচ পুলিশ আমাদেরকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। যার ফলে আমরা ঠিকমতো কাজকর্ম করতে পারছি না।
মাসুক মিয়া নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, আমি গত ইউপি নির্বাচনে মেম্বার পদে নির্বাচন করি। এ সময় আমার হয়ে যারা কাজ করছিলো, বর্তমানে আমিসহ তাদেরকে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে এসআই লিটন রায় জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মাসুক ও মানিক মিয়া নামে দুই ব্যক্তি এর সাথে জড়িত মর্মে পুলিশকে জানায়। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ কাউকে হয়রানি করছেনা। এ ছাড়া চামড়া উদ্ধারের রহস্য উদঘাটনের জন্য গ্রামবাসীর আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply