নিজস্ব প্রতিনিধিঃ যশোরের হাটগুলোতে আমন ধানের সরবরাহ বাড়ায় কমেছে দাম। কৃষকদের দাবি, বর্তমান দামে ধান বিক্রি করে উৎপাদন খরচ তুলতেই হিমশিম অবস্থা। আর আড়তদার ও মিলাররা ধান কিনছেন না বলে বাজারের এ দশা। তারাও কৃষকের মতো লোকসানে আছেন।
যশোরের অন্যতম বড় ধানের মোকাম বাঘারপাড়া উপজেলার খাজুরা হাট। প্রতি রোববার ও বৃহস্পতিবার এ হাটে ধান কেনাবেচা করেন প্রান্তিক চাষিরা। আজকের হাটে ধানের আমদানি ছিল অনেক বেশি। ধান নিয়ে আসা কৃষকদের দাবি ধানের দাম নিম্নমুখী। গত হাটের থেকে প্রতি মণ ধান ৫০ থেকে ১০০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষকদের দাবি এ বছর সার, ডিজেল কীটনাশকসহ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন সকল কিছুর দাম ঊর্ধ্বমুখী ছিল। তাছাড়া বৃষ্টি না হওয়ায় সেচের ওপর নির্ভর করে ফসল ফলাতে হয়েছে। তাছাড়া এবছর উৎপাদনও কম হয়েছে। শুরুতে ধানের দাম বাড়তি থাকলেও দিন দিন ধানের দাম কমে যাচ্ছে। ফলে খরচের টাকাই তুলতে পারছেন না কৃষক। এভাবে চলতে থাকলে ধান চাষ করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
কৃষকরা বলছে, সার ও কীটনাশকসহ সব কিছুর দাম বেশি, আবার ধানের দাম কম। এমন করে হলে আমাদের জীবন কী করে টিকবে! প্রতিমণ ধান উৎপাদন খরচ ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা। অথচ বাজারে ধান বিক্রি করতে এসে ধানের দাম পাচ্ছি ১১৫০ টাকা। আমাদের লোকসানের হিসেব মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
এদিকে আড়তদাররা জানিয়েছেন, মিলাররা ধান না কেনায় বাজার নিম্নমুখী। ফলে তারাও কৃষকের মতো লোকসানে রয়েছেন। মিল মালিকরা ধানের দাম নির্ধারণ করে দেয়, সে দামেই কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনতে হচ্ছে। এদিকে বাজারে প্রচুর ধান আসায় দাম কিছুটা পড়ে গেছে।
আড়ৎ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলামের দাবি, বড় বড় মিলারদের গোডাউনে প্রচুর চাল অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে আছে। এ অবস্থায় ধানের বাজার স্বাভাবিক রাখতে ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ করা প্রয়োজন।
আজ হাটে প্রতি মণ জিরা মিনিকেট ধান ১৫২০ টাকা, ৫১ ধান ১১৩০ টাকা, ৪৯ ধান ১২৫০ থেকে ১৩০০ টাকা, হাবুধান ১৫৪০ থেকে ১৫৮০ টাকা, স্বর্ণা ধান ১১২০ টাকা ও ক্ষীরকোন বা কাটারিভোগ ধান ১৮৫০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply