শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ১২:০৪ পূর্বাহ্ন

কালিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও হুমকির অভিযোগ! মিথ্যা ও ভিত্তিহীন

মামুন মোল্যা
  • আপডেট : শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫

নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলের কালিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইভা মল্লিকের বিরুদ্ধে ঘুষ ও ডিলারশিপ বাতিলের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক ও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করে সার ও বীজ ডিলার জামিল আহমেদ।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। মেসার্স আরাফাত ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী শেখ জামিল আহমেদ যে অভিযোগ করেছে সেটা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। অপরদিকে মো শামিউল মোল্যার কাছে ঘুষের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন জনসম্মুখে ঘুষ চেয়েছে। ভিডিও ও অডিও রেকর্ড আছে কি না জানতে চাইলে বলে নেই। তিনার স্বাক্ষী মেসার্স আরাফাত ট্রেডার্সের কর্মচারী ১/মো নায়েব আলী বলেন এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না তবে মো শামিউল মোল্যা আমাকে বলে ছিলেন কৃষি কর্মকর্তা নাকি ঘুষ চেয়েছিল ২/ অহিদুজ্জামান ১বার বলে কৃষি উপ-সহকারী চঞ্চল কুমার মল্লিক ঘুষ চেয়েছে আবার বলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইভা মল্লিক চেয়েছে সঠিক যে কে চেয়েছে তিনি সঠিক করে বলতে পারেনি।

এ বিষয়ে মহাজন বাজার কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফুল আলম ( ইয়ার আলী) বলেন মেসার্স আরাফাত ট্রেডার্স যে মহাজন বাজারে আছে তাই তো জানতাম না। তিনাকে কখনও মাউলী ইউনিয়নের কৃষকদের নিকট কোন দিন সার বীজ বিক্রয় করতে দেখিনি। তিনি কোথায় সার বীজ বিক্রয় করে আমি জানি না। সরকারি নিয়ম না মানার কারণে দেড় থেকে দুই বছর আগে মেসার্স আরাফাত ট্রেডার্স কে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে। আর সামিউল যে সাংবাদিক দের কাছে বলেছে ১ বছর এবং ৬ মাস আগে কৃষি কর্মকর্তা মহাজন এসে তার কাছে ঘুষ দাবি করেছেন এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কারণ তিনি যদি কোন বাজারে আসে সেই বাজারের ডিলারশীপরা সহ আরো অনেকে অবশ্যই জানবে কিন্তু তিনি যে এসেছিলেন কেউ জানে না, আপনারা তদন্ত করে দেখতে পারেন।

এ বিষয়ে মহাজন বাজারে অবস্থিত ফারিয়া এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী এবং কালিয়া উপজেলা ডিলারশীপ কমিটির সাধারণ সম্পাদক পলাশ প্রফেসার বলেন, জামিল আহমেদ এবং সামিউল মোল্যা যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। জামির আহমেদ সরকারি নিয়ম না মানার কারণে প্রায় দুই বছর আগে তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে এবং নিয়ম না মেনে সার বিক্রয় করে স্বাক্ষর আনতে গেলে স্বাক্ষর দেয়নি তখন তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করে এবং অপরদিকে সামিউল হলো অন্য ইউনিয়নের ভোটার সে কি ভাবে ডিলারশীপ পাবে? ডিলারশীপ পেতে হলে সেই ইউনিয়নের ভোটার হতে হয়। আর তিনি যে বলেছেন ১ বছর এবং ৬ মাস আগে মহাজন বাজারে এসে ঘুষ দাবি করেছে এটা হাস্যকর কারণ ম্যাডাম ঐ জরিমানা সময় ছাড়া মহাজন বাজারে আসেনি এবং একজন উপজেলা কৃষি  কর্মকর্তা বাজারে এসে জনসম্মুখে ঘুষ চেয়েছে এটা হাস্যকার ছাড়া আমার কাছে কিছু মনে হয় না। কালিয়া উপজেলা ডিলারশীপের সভাপতি তপন কুমার দত্ত বলেন,  আমাদের কাছে ম্যাডাম কোন দিন কোন কাজে ঘুষ দাবি করে নাই এবং ১৮টি ডিলারশীপের কেউ আমাদের কাছে এমন অভিযোগ ও করে নাই। ম্যাডাম খুব ভালো মানুষ। তিনি সকলের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেন। এ অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

এ বিষয়ে কালিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, প্রায় বছর দুই আগে এক কৃষকের অভিযোগে মেসার্স আরাফাত ট্রেডার্সে একটি মোবাইল কোট পরিচালনা করে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়,  এই বিষয়টি তিনি মনে রেখেছেন এবং তিনি প্রায় সার বিক্রয়ে অনিয়ম করে, যখন নিয়ম মেনে সার উত্তালন ও বিক্রয়ের পরামর্শ দেওয়া হয় তখন তিনি ক্ষিপ্ত হন এবং নিয়ম না মেনে সার বিক্রয় করার অপরাধে ১টি শোকজ করি, এই শোকজ করার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার নামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করে জেলা প্রশাসক ও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বরাবর এবং সামিউল যে ঘুষের অভিযোগ করে তাকে আমি চিনিনা এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি এই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিয়োগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS