চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: উপ বরাদ্দ বা আপৎকালীন বরাদ্দকৃত ধান -গমের বীজ না পেয়ে চুয়াডাঙ্গার বিএডিসির ডিলারগণ জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২ টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক )সাজিয়া আফরিনের নিকট এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপি প্রদান করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএডিসি সার বীজ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদ হোসেন। লিখিত স্মারক লিপিতে উল্লেখ করা হয় ,গত ২২/১১/২০২২ ইংরেজি তারিখের স্মারক নং ১২০৬০০০০২৭১১১৩৯৫২২ মোতাবেক বিএডিসি হতে
চুয়াডাঙ্গা জেলার জন্য ৫৫ মেঃ টন ধান বীজ এবং ৫০ মেঃ টন গম বীজ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে । কিন্তু আমরা একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি যে, একটি মহল সেই বরাদ্দকৃত গম ও ধান বীজ বিএডিসির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাদের নামে বরাদ্দ নিয়েছেন। একই সাথে সেই মহলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, আমরা মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের নামে গম ও ধান বীজ বরাদ্দ নিয়েছি। এ বিষয়ে আমাদের দাবি চুয়াডাঙ্গা জেলার জন্য বরাদ্দকৃত আপৎকালীন গম ও ধান বীজ আমরা যেন সম বন্টন ভিত্তিতে পেতে পারি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সানুগ্রহ দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানাচ্ছি যে,আমরা নিম্নস্বাক্ষরকারীগণ চুয়াডাঙ্গা জেলার বিএডিসি বীজ ডিলার। দেশের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ কৃষি। তাই কৃষকদের মধ্যে বিএডিসি ব্যান্ড উন্নতমানের বীজসমূহ সঠিক সময়ে কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করে থাকি। বর্তমানে বরাদ্দকৃত ধান ও গম বীজ আমরা না পাওয়ার আশঙ্খা করছি।
স্মারকলিপিটির অনুলিপি প্রদান করা হয়েছে সদস্য সচিব, জেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির উপ-পরিচালক, ডি,এ,ই, চুয়াডাঙ্গা এবং উপ-পরিচালক, বীজ বিপণন, কুষ্টিয়া।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা বিএডিসির সার বীজ ডিলার সালাউদ্দিন আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোথাও যোগাযোগ করে বীজ বরাদ্দ নেয়নি। আমি অন্যান্য ডিলারের মতোই আমার ৮টি ডিলার এর বিপরীতে এক টন করে বীজ বরাদ্দ পেয়েছি। এ বিষয়ে পরে আপনাদেরকে আরো জানাবো।
চুয়াডাঙ্গা বিএডিসি সেলস সেন্টারের অফিস সহায়ক কাম কম্পিউটার ম্যান ওয়ালিদ হোসেন এর কাছে উপ-বরাদ্ধ বা আপৎকালীন বীজ বরাদ্দের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে বলেন আমরা এখনো বরাদ্দ পাইনি। কিন্তু বরাদ্দপত্রের স্মারকলিপি উল্লেখ করে জানতে চাইলে তখন বলেন, আপনি লাইনে থাকুন আমি দেখে আপনাকে জানাচ্ছি। লাইনে থাকা অবস্থায় তিনি বলেন হ্যাঁ বরাদ্দ পত্র এসেছে। সেই অনুযায়ী আপৎকালীন উপ বরাদ্দ আছে গম-বীজ ৪৫ টন ও ধান বীজ ৫০ টন। এ বীজ কিভাবে বন্টন করা হবে? সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিলার প্রতি ৩২০ কেজি করে বীজ প্রদান করা হবে। কিন্তু ডিলারদের দাবি চুয়াডাঙ্গা জেলার ৯৯ টি ডিলার সেই হিসাবে ৫০ টন ধান বীজ বরাদ্দ পেলে সেখানে প্রতিটি ডিলার পাবে ৫৫০ কেজি করে ধান বীজ এবং গম বীজ পাবে ৫০৫ কেজি করে। ঢাকা বিএডিসির অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক ওবায়দুল্লাহ সাক্ষরিত বরাদ্দেপত্রে ৫৫ টন ধান বীজ এবং ৫০ টন গমবীজ চুয়াডাঙ্গা জেলার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। অথচ চুয়াডাঙ্গা সেলস সেন্টারের পক্ষ থেকে অফিস সহায়ক কাম স্টোরকিপার ওয়ালিদ হোসেন বলছেন ৪৫ টন গমবীজ এবং ৫০ টন ধান বীজ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ দু রকম তথ্যে বিষয়টি স্পষ্ট যে, গম বীজ এবং ধান বীজ ডিলারদের মধ্যে সমবন্টনে গরমিল বা পক্ষপাতিত্ব হয়ে থাকে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply