রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সম্পূর্ণ ভুল অঙ্ক কষেছিলেন। ভ্লাদিমির পুতিন ভেবেছিলেন, মস্কো ভেবেছিল সহজেই তারা কিয়েভ পৌঁছে যাবে এবং সেখানে সকলে রাশিয়াকে স্বাগত জানাবে। কিন্তু বাস্তবে ফল হয়েছে বিপরীত। ফলে পুতিনের অবস্থা কার্যত এখন ল্যাজেগোবরে।
সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
গত সপ্তাহে পরমাণু অস্ত্র নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছিলেন বাইডেন। তিনি বলেছিলেন, ক্রেমলিন পরমাণু অস্ত্র নিয়ে হুমকি দিচ্ছে। রাশিয়া যে কোনো সময় পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করে ফেলতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বাইডেন। যদিও এরপর পেন্টাগন জানিয়েছিল, রাশিয়া হুমকি দিলেও এখনই তাদের পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের জায়গায় নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন বোধ করছে না মার্কিন সেনা।
এদিকে মঙ্গলবার ফের একবার বিশ্ব নেতাদের কাছে এয়ার শিল্ড পাঠানোর দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের কয়েক কোটি মানুষ এয়ার শিল্ডের অপেক্ষায় আছেন। এয়ার শিল্ড পেলে তারা উপকৃত হবেন এবং সুরক্ষিত থাকবেন। সোমবারের পর মঙ্গলবারও রাশিয়া লাগাতার মিসাইল হামলা চালিয়ে গেছে। শুধু মঙ্গলবারই রাশিয়া ২৮টি মিসাইল ছুঁড়েছে। ১৫টি ড্রোন পাঠিয়েছে। এই প্রতিটি ড্রোনই ইরানের বলে দাবি করেছেন জেলেনস্কি। তার দাবি, ইউক্রেনের সেনা অধিকাংশ ড্রোনই গুলি করে নামিয়েছে। সেখানে ইরানের লোগো আছে। ইউক্রেন সেনার প্রধান জানিয়েছেন, ইউক্রেনের অন্তত দুই ডজন অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। শহর-গ্রাম কিছুই আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পায়নি।
বার্লিন আগেই জানিয়েছিল, চলতি সপ্তাহে অন্তত একটি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ইউক্রেনকে দেওয়া হবে। মোট চারটি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ইউক্রেনকে দেওয়ার কথা জার্মানির। মঙ্গলবার জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টিন ল্যামব্রেশট বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনের বেসামরিক মানুষদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। কিয়েভকে লাগাতার সমর্থন এবং সাহায্য করার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। পুটিনের সমালোচনা করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, রাশিয়াতেও পুটিনের বিরুদ্ধে মানুষ সরব হতে শুরু করেছেন।
সূত্র: ডিডাব্লিউ
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply