হরিপুর, (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ সার ডিজেলর মূল্য বৃদ্ধি, ইউরিয়া সার কেজিতে ৬ টাকা বৃদ্ধি, ডিজেল লিটার পতি বেড়েছে ৩৪ টাকা সার ও ডিজেলের বাড়তি দামে আমন আবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক।
ডিজেল ও সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমন ধান উৎপাদনে কৃষকের খরচ বেড়ে গেছে ক্ষেত প্রস্তুত থেকে শুরু করে ,সেচ দেওয়া বালাই নাশক দেওয়া ,মাড়াই করা ফসল ঘরে তোলা শ্রমিকের মুজুরি, সবই বাড়তি খরচের বোঝা টানতে হচ্ছে।
কয়েক দিনের ব ̈বধানে ইউরিয়া, ডিজেল অঘশিত ভাবে কৃষক কিন্তে এখন হিমশিম খাচ্ছে এর সঙ্গে যোগ হয়েছে অনাবৃষ্টি এবছর বৃষ্টি পাত কম হওয়ায় আমন ধানে সেচ বেশী লাগছে। এতে উৎপাদন খরচ আরো বাড়ছে। উৎপাদিত ফসল বৃদ্ধি করে খরচ উঠবে না বলে আশংকা করছে কৃষকেরা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের গেদুড়া ,আমগাঁও, বকুয়া, হরিপুর , ভাততরিযা ইউনিয়নের কৃষকদের সহিত যোগাযোগ করলে এমন আশংকার কথা জানান সার ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধির ফলে কৃষি অর্থনীতিতে ২ ধরনের চাপ সৃষ্টি হতে পারে । উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়া কৃষকদের কৃষি পননের দাম পেতে হবে । আবার বাজারে চালের দাম বাড়লে গরিব মানুষের কষ্ট অবধারীত ভাবে আর এক দফা বাড়বে। ১ আগষ্ট মাসে ইউরিয়া সারের দাম কেজি প্রতি ৬ টাকা বাড়লেও ডিলার পরযায়ে সর্বচ্চ খুচরা মূল্য প্রতি কেজি ২০ টাকার স্তলে ২২ টাকা পূণ নির্ধনর করা হয়েছে। এর ৪ দিন পরে জালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা আসে । ডিজেল ও কেরসিনের ক্ষেত্রে লিটার প্রতি দাম ৩৪ টাকা পেটেধল ৪৪ টাকা এবং অকটেন বেড়েছে ৪৬ টাকা ।
ডিজেলের দাম বাড়াই বিঘা প্রতি সেচের খরচ বাড়বে। পাওয়ার টিলার , টধাকক্টর ব্যবহার খরচ বাড়বে ইউরিয়ার দাম বাড়ানোর কারনে বিঘা প্রতি ৫০০ টাকা খরচ বাড়বে আবার বৃষ্টি পাত না হওয়ায় ৩০ শতাংশ জমিতে আমন আবাদ হলেও ভালো ফলোন হবেনা এটিও বড়ো আঘাত।
জুলাই এর শুরু থেকে মধ্য অক্টোবর পর্যন্ত আমন মৌসুম আমন ধানের চারা রোযন সময় কাল মধ্য জুলাই থেকে ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত জমি প্র ̄‘ত করার সময়। টি এস পি, ডি এ পি, ও এম ও পি পটাশ সার জমিতে দিতে হয় । চারা রপোনের পর জুলায় ও আগষ্ট মাসে ইউরিয়া সার ব ̈াবহার হয় সব চেয়ে বেশী।
সারের খরচ বাড়লঃ মহেন্দ্র গাওঁ গ্রামের মোঃ খলিলুর রহমান জানালেন যে, তিনি এবছর ১২ বিঘা জমিতে আমন ধান আবাদ করে ছেন। গতবছর তিনি টিএসপি, ২৮ টাকা এম ওপি, পটাশ ১৬ টাকা ডিএ পি ২০ টাকা ইউরিয়া ১৮ টাকা কেজিদরে কিনে ক্ষেতে নিয়েছেন । আর ডিজেল কিনেছিলেন প্রতিলিটার ৬৫ টাকা দরে। গত বছর ক্ষেতে অল্প সেচ দিতে হয়েছিল। এবার সেচ দিয়ে আমনের জমি প্রস্তুত করেছেন। । তিনি আরো বলেন যে, ডিজেলের দাম বাড়ায় সেচ ও চাষে আরেক দফা দাম বেড়ে। যাচ্ছে। গত বছর সব মিলিয়ে আমার ১ বিঘা জমিতে ১হাজার টাকা খরচ হয়ে ছিল । এবার অবস্থা খুব খারাপ এবার ১ বিঘা জমিতে ১৪/১৫ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যাবে । কৃষকের বাড়তি খরচ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি অফিসার এর সহিত যোগা যোগ করলে… তিনি জানান যে, এবছর ধানের দাম বেশী। সেই হিসেবে আমন ধানের উপর এর কোন প্রভাব পড়বে না । সাবেক কৃষি সচিব অ্যানোয়ার ফারুক গবেষণা সংস্থা সিপি ডি র এক সংলাপ অনুষ্ঠানে বলেন যে, ৬০ শতাংশ চাল আসে বোরো ধান আবাদ থেকে । এটা পুরোটাই সেচ নিরভর দেশে ৩৭ হাজার গভিরনলকূপ,১৩লক্ষ অগভির নিলকুপ, দিয়ে সেচ দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে ১৫ লক্ষ কৃষি যনত্র আছে। যার ৭৫ শতাংশ ই ডিজেল চালিত। ডিজেলের দাম বাড়ায় বিঘা প্রতি সেচের খরচ বাড়বে। এব্যপারে হরিপুর উপজেলা পল্লিবিদুৎ প্রকৌশলীর সহিত যোগা যোগ করলে প্রতিবেদকে জানান যে, হরিপুরে গভির নল ঝুপ ১৫৭ টি অগভির নল কুপ STW 8৫৩ টি জার ৭০ শতাংশ ডিজেল চালিত যন্ত্রপাতি আছে অফিস সূত্রে জানা গেছে।
বৃষ্টি কমঃ সেচে বাড়তি খরচ দামোল গ্রামের মোঃ মাইনুদ্দীন যানালেন যে, জমি বর্গা নিয়ে চাষ আবাদ করে ৪ বিঘা আমন ধান রোপন করেছি । বৃষ্টি পাত কম হওয়ায় এবছর জালানি তেলের দাম বেশী, সারের দাম বেশী পটাশ সার ১৪০০/১৫০০ টাকা দিও কিনতে মিলছেনা এত পটাশ সার গেল কথাই । বেশী দামে সার কিনে আবাদ করতে হয়েছে । ফসলের যদি নয্য মূল্য আগামিতে না পায় তাহলে ছেলে মেয়ে নিয়ে মরা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না আগের তুলনায় এবছর শ্রমিকের মূল্য বেশী পাওয়ার টিলার, ট্রেকটোর, মই এর মূল্য বেশী ধান রোপন কর্তন সব কিছুর মূল্য বেশী সব মিলিয়ে আমাদের পদে পদে খরচ বাড়ছে আমন ধানের ১৬হাজার ১০০শত৩০ হেক্টর জমিতে আমন ধান অর্জিত হয়েছে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।
_মোঃ ইউসুফ আলী_
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply