রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:২৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
রবি আজিয়াটা সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পিবিআই এর তদন্তে বাদীই পিতার হত্যাকারী, চুরির নাটক, স্বীকারোক্তি ও আলামত উদ্ধার চুনারুঘাট থানার ওসি মোঃ নুর আলম ক্লোজড আইএফআইসি ব্যাংকে “পরিবর্তনের পরিক্রমায় এক বছর” শীর্ষক টাউন হল সভা অনুষ্ঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় নির্বাচন করার মত সক্ষমতা এখনো অর্জন করতে পারেনি : জাতীয় সংলাপে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ২৪তম টেক্সটাইল সিরিজ অফ এক্সিবিশন্স ২০২৫ এর পর্দা নামলো জাকসুর ভিপি স্বতন্ত্র প্যানেলের আব্দুর রশিদ জিতু, জিএস ছাত্রশিবিরের মাজহার ইসলাম নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ সুশীলা কার্কির ইসরাইলের হামলায় গাজায় আরও ৫০ জন নিহত

ভৈরবে ময়লা আবর্জনার দুর্ভোগে নাকাল পৌরবাসী ॥ বেহাত হচ্ছে সরকারি ভূমি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

কিশোরগঞ্জের ভৈরবের বিভিন্ন সড়কের পাশে ময়লা আবর্জনার স্তূপে নাকাল হয়ে পড়েছে পৌরবাসী। ময়লার দুর্গন্ধে ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক জীবন। ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে পরিবেশ হচ্ছে মারাত্মক দূষিত। অনেকের মাঝেই দেখা দিয়েছে নানান ধরনের রোগ বালাই। সড়কে চলাচল যানবাহনের যাত্রী ও পথচারীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। নালা ডোবা ময়লায় ভরাট হওয়ায় চলছে দখল প্রক্রিয়া। স্থানীয়দের দাবি লোকালয় থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হোক ময়লার ভাগাড়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন বলেন শহরের বাহিরে নির্জন কোনো স্থানে একটি ময়লার ডাম্পিং স্টেশন করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। 

সরেজমিনে জানা যায়, বন্দর নগরী ভৈরব ও রেলওয়ে জংশনের একটি ব্যস্ততম সড়র হচ্ছে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন রোড। স্টেশন থেকে বেরিয়ে প্রথমেই যেটা চোখে পড়বে সেটা হল পলাশ মোড়ের ময়লার ভাগাড়। এছাড়াও পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ড তাঁতার কান্দি হাজি কাদির সরকার রোড সহ বিভিন্ন সড়কের পাশে রয়েছে ময়লার ভাগাড়। আর এ রোডেই প্রতিদিন মানুষ চলাচল করে থাকে হাজারো রিকশা আর অটো সিএনজি। সড়কটির পাশেই রয়েছে রেলওয়ের একটি বড় পুকুর। প্রতিদিন পৌর শহরের বিভিন্ন বাসাবাড়ি আর হোটেল রেস্তোরাঁর ৩০ থেকে ৪০ টন ময়লা এনে এখানেই ফেলেন পরিচ্ছন্নকর্মীরা। বর্তমানে পুকুরটির এক তৃতীয়াংশ ভরাট হয়ে গেছে ময়লা আবর্জনায়। এ ময়লার দুর্গন্ধে সড়ক দিয়ে চলাচলের সময় নাক মুখ চেপে চলতে হয় পথচারী আর যান বাহনের যাত্রীদের। ময়লা থেকে সৃষ্ট হওয়া পোকা মাকড় আর মশা মাছির মাধ্যমে মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে রোগ বালাই। বেশি দুর্ভোগে পড়েছে ময়লার স্তুপের পাশর্^বর্তী নর্থ সাউথ কিনডার গার্ডেন স্কুলের শিক্ষক আর কোমল মতি শিক্ষার্থীদের। দুর্গন্ধে ক্লাশ করতে পারছেনা শিক্ষার্থীরা। অনেক শিক্ষার্থীদের মাঝে দেখা দিয়েছে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগ। ময়লার দুর্গন্ধও বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে পৌরবাসীর। স্থানীয়দের দাবি একটা নির্জন স্থানে ময়লা ফেলা হলে মানুষের জীবন যাত্রায় কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না।  

পথচারী খাইরুল কবির দিপু, সুবোধ সরকার ও আলামিন মিয়া বলেন, প্রতিদিনই এ রাস্তা দিয়ে আমাদের পেশাগত কাজে আসা যাওয়া করতে হয়। এ জায়গাটিতে আসলে নাক মুখ চেপে আসতে গিয়ে দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম। পৌর কর্তৃপক্ষ কি ভাবে যে এমন একটা ব্যস্ততম রাস্তার পাশে ময়লা আবর্জনা ফেলছে ভাবতেও অবাক লাগে। 

ট্রেনে আসা যাত্রী আব্দুল কুদ্দুছ মিয়া এবং রুহুল আমিন বলেন, ভৈরবের মানুষের রুচি বোধ থাকলে এমন স্থানে ময়লা ফেলে পরিবেশ নোংরা করতো না। মনে হয় তাদের রুচিবোধের অভাব আছে।

অপর যাত্রী কাউসার আহমেদ বলেন, এখানকার ময়লা আবর্জনা ভৈরবের সৌন্দর্য্যটাকে অসুন্দর করে ফেলেছে। পৌর কর্তৃপক্ষের উচিত হবে এখানে ময়লা আবর্জনা না ফেলে একটি নির্জন স্থানে ময়লা ফেলা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নর্থ সাউথ স্কুলের শিক্ষিকারা বলেন, আমাদের স্কুল সংলগ্ন স্থানে ময়লা ফেলায় আমরা ঠিকমতো ক্লাশ করতে পারি না , শুধু ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধের কারণে। স্টুডেন্টরা অনেকেই মাঝে মধ্যে বমি করে ফেলে। আবার অনেকের মাঝে দেখা দিয়েছে অ্যালার্জির মতো চুলকানি রোগ। পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের আকুল আবেদন যত দ্রুত সম্ভব এখানে ময়লা না ফেলে অন্যত্র কোথাও ফেলুক। তাহলে একদিকে মেন ভৈরবের সৌন্দর্য রক্ষা পাবে অপর িেদক এ স্কুলের শিক্ষার্থীরা সুন্দর ও সুস্থ থাকবে।

শিক্ষার্থী তুহিন ও মারিয়া বলেন, ময়লার দুর্গন্ধে আমরা ক্লাশ করতে পারিনা। কিছুক্ষণ ক্লাসে বসে থাকার পর দম বন্ধ হয়ে মারা যাবার মতো অবস্থা হয়। এখানে ময়লা ফেলে আমাদের স্কুলের সুন্দর পরিবেশটাকে তারা নষ্ট করছে।

এলাকাবাসী অনেকেই বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ এখানে ময়লা ফেলে ভরাট করে ভূমি দস্যুদের দখল করার সুযোগ করে দিচ্ছে। আমাদের মনে হয় এখানকার জায়গা ভরাটের মাধ্যমে কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে। নইলে তারা এতো সুন্দর করে ভরাট কারণ কি।

পরিচ্ছন্নকর্মীরা বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই পলঅশের মোড় আর বাগানবাড়ি এলাকায় রেলওয়ের পরিত্যক্ত ভূমিতে ময়লা ফেলা হচ্ছে। অআমরা শুধু নির্দেশ পালন করছি। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিনের সাথে কথা তিনি জানান, একটি নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলার জন্য পৌর সভার পক্ষ থেকে একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারের নীতিমালার ভেতরে থেকে পৌর সভার জন্য একটি নিদিষ্ট ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করার কাজ চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে ডাম্পিং স্টেশনের জন্য জমি কেনার উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। জমি কেনা হলেই ড্রাম্পিং স্টেশনের কাজ শুরু করা হবে। ড্রাম্পিং স্টেশন হয়ে গেলে ময়লা আবর্জনার জন্য পৌরবাসীকে আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। 

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS