বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
নির্বাচনী প্রার্থীদের আয়কর রিটার্নে প্রার্থীদের সহায়তায় এনবিআরের উদ্যোগ তারেক রহমানের দেশে আসার প্রভাব হবে খুবই ইতিবাচক বলে মন্তব্য প্রেস সচিবের পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে ৭ লাখ ১৭ হাজার ভোটারের নিবন্ধন নগদ সহায়তার মেয়াদ আরও ৩ বছর বাড়ানোর দাবি বিটিএমএ-র স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়েছে ডিবিএ ২৬ ডিসেম্বর ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন-২০২৫ শেখ হাসিনার জন্মদিন পালন করা সহ বিভিন্ন মিছিল করে নাশোকতার মামলায় ছাত্রলীগ সভাপতি সুজন সহ গ্রেফতার ০৭ রাজিবপুর সদর ইউনিয়নে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ ময়মনসিংহ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে মোবাইল কোট পরিচালিত বিভাগীয় পর্যায়ে আন্তঃকলেজ ফুটবলে ময়মনসিংহ জেলা সেরা

বন্ধ হচ্ছে ৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫
  • ৩৩ Time View

বন্ধ হতে যাচ্ছে অতিরিক্ত খেলাপি ঋণের চাপ ও মূলধন ঘাটতিতে থাকা নয়টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। একই সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অবসায়নের প্রক্রিয়া শুরু করতে এরইমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

বন্ধের প্রক্রিয়ার থাকা আর্থিক প্রতিষ্ঠগুলো হলো- এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, আভিভা ফাইন্যান্স, প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, জিএসপি ফাইন্যান্স কোম্পানি এবং বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড।

এরমধ্যে এফএএস ফাইন্যান্সের পুঞ্জীভূত লোকসান ১ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা। কোম্পাটির খেলাপি ঋণ ১ হাজার ৮১৪ কোটি টাকা। এছাড়া ফারইস্ট ফাইন্যান্সের পূঞ্জীভূত লোকসান ১ হাজার ১৭ কোটি টাকা, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের লোকসান ৪ হাজার ২১৯ কোটি টাকা, পিপলস লিজিংয়ের লোকসান ৪ হাজার ৬২৮ কোটি টাকা, প্রাইম ফাইন্যান্সের লোকসান ৩৫১ কোটি টাকা, আভিভা ফাইন্যান্সের ৩ হাজার ৮০৩ কোটি টাকা, প্রিমিয়ার লিজিংয়ের লোকসান ৯৪১ কোটি টাকা, জিএসপি ফাইন্যান্সের লোকসান ৩৩৯ কোটি টাকা, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সের লোকসান ১ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা। এসব প্রতিষ্ঠানের বিতরণ করা ঋণের অধিকাংশের বেশি খেলাপি।

এর আগে গত জানুয়ারিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা যাচাই করতে একটি কমিটি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই কমিটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর পর্যালোচনা একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। কমিটি বিভিন্ন সূচক পর্যালোচনা করে ঋণের প্রকৃত অবস্থা নিরূপণ এবং তারল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছে। একসঙ্গে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পদ দায়ের পরিমাণ নির্ণয় করেছে। 

এর মধ্যে ২০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সমস্যাগ্রস্ত হিসেবে চিহ্নিত করে। পরবর্তীতে এসব কোম্পানির লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না জানতে চেয়ে নোটিশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নোটিশের উত্তর সন্তোষজনক না হওয়ায় ৯ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত ও অবসায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে বৈঠকে এসব প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবসায়নের প্রক্রিয়া শুরু করতে অনুমোদন দেয় গভর্নর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট ৩৫টি নন ব্যাংকি আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে সমস্যাগ্রস্ত ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণ ২৫ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। এরমধ্যে খেলাপি ২১ হাজার ৪৬২ কোটি টাকা। এসব প্রতিষ্ঠানের পুঞ্জীভূত লোকসান ২৩ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা। মূলধন ঘাটতি ১৯ হাজার ২১৮ কোটি টাকা।

Please Share This Post in Your Social Media

Comments are closed.

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS