বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ঘোষণা দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আর কোনো ব্যক্তিগত লকার থাকবে না। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকে ব্যক্তিগত লকার রাখার প্রথা আমরা বন্ধ করে দিচ্ছি। এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ নয় এবং আন্তর্জাতিক প্রথাতেও এর স্থান নেই।”
তিনি আরও জানান, কিছু লকার বর্তমানে আদালতের আদেশে ফ্রিজ করা রয়েছে। ফলে তাৎক্ষণিকভাবে লকারগুলো বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “যেই মুহূর্তে ফ্রিজ অবস্থা উঠবে, সেসময়ই লকার সেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে।”
গভর্নর বলেন, “ভবিষ্যতে কেউ ব্যক্তিগত লকার ব্যবহার করতে চাইলে বেসরকারি ব্যাংকে যেতে হবে। এটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি পদ্ধতি।” তাঁর মতে, বাংলাদেশ ব্যাংক একটি নীতিনির্ধারক ও তদারকি প্রতিষ্ঠান—এখানে ব্যক্তিগত সম্পদ সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকা উচিত নয়।
এই ঘোষণা ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে এসেছে। অতীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ব্যক্তিগত লকার থাকার কারণে কিছু ক্ষেত্রে গোপন সম্পদ রাখা, দুর্নীতি ও অনিয়মের সুযোগ তৈরি হয়েছিল। এগুলো বন্ধ করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে একই সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর জানান, দুর্বল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো একীভূত করা হবে, ছয়টি নতুন আইন আনা হচ্ছে, ব্যাংক রেজুলেশন বিভাগ গঠন করা হয়েছে, পরিচালকদের মেয়াদ ৬ বছরে সীমাবদ্ধ রাখা হবে এবং হাইকোর্টে আটকে থাকা অর্থ ছাড়াতে আইনি কাঠামো সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply