বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:০৫ অপরাহ্ন

ভ্যাটিকানের মানব ভ্রাতৃত্ব সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেলেন প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ, ২০২৫
  • ৩ Time View

ভ্যাটিকান সিটিতে মানব ভ্রাতৃত্ব বিষয়ক বিশ্ব সম্মেলনে (১২ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর) যোগদানের জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন হলি সি পোপ ফ্রান্সিস।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভ্যাটিকানের ফন্ডাজিওন ফ্রাটেলি টুট্টির সাধারণ সম্পাদক ফাদার ফ্রান্সেস্কো ওচেতা। এ সময় তিনি ব্যক্তিগতভাবে ড. ইউনূসের কাছে আমন্ত্রণপত্রটি পৌঁছে দেন।

সম্মেলনকে ঘিরে সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে একটি বিশাল সমাবেশের আশা করা হচ্ছে। যা বিশ্বের বৃহত্তম অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি হবে। এই অনুষ্ঠানে একটি বিশ্বব্যাপী কনসার্ট, আলোচনা এবং মানব ভ্রাতৃত্বের নীতিগুলোকে পুনর্ব্যক্ত করে প্রতীকী মাল্টিমিডিয়ার উপস্থাপনাও থাকবে। এই অনুষ্ঠানে বিশ্বনেতারা উপস্থিত থাকবেন।

সাক্ষাৎকালে ওচেটা নোবেল বিজয়ীর বিশ্বব্যাপী প্রভাবের প্রতি উচ্চ শ্রদ্ধা প্রকাশ করে বলেন, আপনি একজন শীর্ষ নেতা, আপনি একজন চাঞ্চল্যকর ব্যক্তিত্ব।

এ সময় অধ্যাপক ইউনূস পোপ ফ্রান্সিসের খোঁজ-খবর নেন ও শুভেচ্ছা জানান এবং বলেন, তিনি (পোপ ফ্রান্সিস) একজন অসাধারণ মানুষ।

ভ্যাটিকানে মানব ভ্রাতৃত্ব বিষয়ক সম্মেলন একটি ঐতিহাসিক সমাবেশ হতে চলেছে। যেখানে ঐক্য, শান্তি এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যৎ গঠনের জন্য বিশ্ব নেতা, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব এবং চিন্তাবিদদের একত্রিত করা হবে।

এই অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে ‘মানবতার টেবিল’র খসড়া তৈরি, যা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য সার্বজনীন নীতিমালার রূপরেখা প্রণয়ন করবে। এ ছাড়া অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সহানুভূতিশীল বিশ্বের জন্য পোপ ফ্রান্সিসের দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে একটি নতুন মানব সনদ সংজ্ঞায়িত করবে।

ওচেতা বাংলাদেশের প্রতি ফাউন্ডেশনের মূল্যায়নের ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা এখানে কেবল আপনাকে আমন্ত্রণ জানাতে আসিনি, বরং বাংলাদেশের প্রতি আমাদের সমর্থন, যত্ন এবং ভালোবাসা প্রদর্শন করতেও এসেছি।’

অধ্যাপক ইউনূস আমন্ত্রণের জন্য ওচেটাকে ধন্যবাদ জানান এবং অনুষ্ঠানের জন্য তার প্রত্যাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি এটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’

ভ্যাটিকান কর্তৃপক্ষ অধ্যাপক ইউনূসের ‘তিন শূন্য নীতি’—শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য নিট কার্বন নির্গমনের স্বীকৃতি দিয়েছে। যা তার রূপান্তরকামী নেতৃত্ব ও টেকসই বিশ্ব গড়ে তোলার প্রতি অঙ্গীকারকে আরও সুদৃঢ় করেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS