শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ০৬:০৭ পূর্বাহ্ন

আবরার হত্যা মামলা নিয়ে মুখ খুললেন শিশির মনির

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যায় জড়িতদের পক্ষে আইনজীবী হিসাবে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী শিশির মনিরের নাম আসার পর সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে তৈরি হয়েছে ব্যাপক সমালোচনার।

বিষয়টি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা-সমালোচনার পর অবশেষে এই নিয়ে মুখ খুলেছেন অ্যাডভোকেট শিশির মনির।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেজে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি নিয়ে নিজের অবস্থান জানানোর পাশাপাশি মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।

ওই পোস্টে তিনি লিখেন, হাইকোর্টে শহীদ আবরার ফাহাদের মামলার শুনানি শেষ। রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ। বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া সমীচীন হবে না। আমি আপনাদের আবেগ-অনুভূতির প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল। আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, হাইকোর্টের রায় যাই হোক- আপিল বিভাগে কারও পক্ষে আমি এই মামলা পরিচালনা করব না ইনশাল্লাহ।

তিনি আরও লিখেন, বিষয়টি নিয়ে শহিদ আবরারের পরিবারের সঙ্গেও আমি কথা বলব। আশা করি, সকলেই বিষয়টি সৌহার্দপূর্ণ দৃষ্টিতে দেখবে।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র আবরারকে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরদিন চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। ৩৭ দিনে তদন্ত শেষ করে ১৩ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান। পরে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু হয়। বিচার শেষে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান রায় ঘোষণা করেন।

সেদিন জনাকীর্ণ আদালতে ২০ আসামির সর্বোচ্চ সাজার রায় ঘোষণা করে বিচারক বলেন, ‘মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তাদের গলায় ফাঁসি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ প্রদান করা হল।’ মৃত্যুদণ্ড ২০ আসামিই বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

বাকি পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। বিচারিক আদালত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিলে, সে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে। এ জন্য ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুসারে বিচারিক আদালতের রায়ের পর মামলার যাবতীয় নথি হাইকোর্টে পাঠাতে হয়; যা ডেথ রেফারেন্স নামে পরিচিত।

২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি আবরার হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। অন্যদিকে আসামিরাও রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। ১০ ফেব্রুয়ারি ডেথ রেফারেন্স ও আপিলে নতুন করে শুনানি শুরু হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS