গত বছরের অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ দুই টেস্টে ৪০ উইকেটের ৩৯টিই নিয়েছিলেন নোমান আলী ও সাজিদ খান। প্রথম টেস্ট হারার পরও তাদের দুজনের স্পিন জাদুতে সিরিজ জিতে নিয়েছিল পাকিস্তান। নতুন বছরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতে মুলতানে স্পিন জাল বিছিয়ে দেয় স্বাগতিকরা। সাজিদ, নোমান, আবরার আহমেদের স্পিন জালে ফেঁসে প্রথম ইনিংসে ১৩৭ রানে গুটিয়ে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংসে অল আউট হয়েছে ১২৩ রানে। মুলতানে সিরিজের প্রথম টেস্টে পাকিস্তান জয় পেয়েছে ১২৭ রানে। দুই টেস্টের সিরিজে এগিয়ে গেল পাকিস্তান।
মুলতানে জয়ের জন্য ২৫১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সাজিদের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে চেয়েছিলেন ক্রেইগ ব্রার্থওয়েট। তবে টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় ডিপ মিড উইকেটে সীমানার কাছে দাঁড়িয়ে থাকা খুররাম শাহজাদের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক। ডানহাতি ওপেনার আউট হয়েছেন ১২ রানে। একটু পর ফিরেছেন তিনে নামা কেসি কার্টি।
সাজিদের বলে সুইপ করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ক্যাচ দিয়েছেন। ডানহাতি ব্যাটার ফিরেছেন ৬ রানে। কাভেম হজও সুবিধা করতে পারেননি। ডানহাতি অফ স্পিনারের অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরের বলে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন লুইস। তবে ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক গলে বল আঘাত করে স্টাম্পে। এরপর রানের খাতা খোলার আগেই ফিরেছেন হজ। দলের রান পঞ্চাশ হওয়ার আগে আউট হয়েছেন মিকাইল লুইস।
ডানহাতি ওপেনার লম্বা সময় উইকেটে ঠিকে থাকলেও সুবিধা করতে পারেননি। সাজিদের স্লোয়ার ডেলিভারিতে ডাউন দ্য উইকেটে এসে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন লুইস। তবে ব্যাটে-বলে না হওয়ায় বোল্ড হয়ে ফিরতে হয়েছে ১৩ রান করা ব্যাটারকে। মাত্র ৩৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সফরকারীরা। পঞ্চাশ পার হতেই নিজের উইকেট দিয়ে গেছেন জাস্টিন গ্রিভস।
নোমানের বলে সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ৫ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন টেভিন ইমালচ ও অ্যালিক অ্যাথানাজে। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৪১ রান। ইমালচকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আবরার। ১৪ রান করা ইমালচ ফেরেন রিজওয়ানকে ক্যাচ দিয়ে। এরপর সিনক্লেয়ারকে নিয়ে আরও ২৮ রানের জুটি গড়েন অ্যাথানেজ। সিনক্লেয়ার আউট হয়েছেন ১০ রানে। নবম ব্যাটার হিসেবে অ্যাথানেজ আউট হওয়ার আগে করেছেন ৫৫ রান করা। সাজিদের ৫ ও আবরারের ৪ উইকেটে মাত্র ১২৩ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সকালের শুরুতে আগের দিনের ৩ উইকেটে ১০৯ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। আগের দিনের সঙ্গে ৪৮ রান যোগ করে স্বাগতিকরা। জোমেল ওয়ারিকানের স্পিনের সামনে এ দিন দাঁড়াতে পারেননি সাউদ শাকিল, সালমান আলী আঘা, রিজওয়ানরা। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৫৭ রানে অল আউট হয় শান মাসুদের দল। পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে দেয়ার কাজটা একাই করেছেন ওয়ারিকান। বাঁহাতি স্পিনার মাত্র ৩২ রান দিয়ে নিয়েছেন ৭ উইকেট।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply