কেপ টাউন টেস্টে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছুই ঘটল না। তবে ব্যাটারদের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত ফলো-অন কাটিয়ে উঠতে পারে পাকিস্তান। ফলে জয়ের জন্য সাউথ আফ্রিকার সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫৮ রানের। সেই লক্ষ্য সহজেই টপকে যায় প্রোটিয়ারা। ম্যাচটি তারা জিতে নেয় দশ উইকেটের বড় ব্যবধানে। একইসঙ্গে ২-০ ব্যবধানে সিরিজও জিতে নেয় তারা।
২০৮ রানে পিছিয়ে থেকে চতুর্থ দিন শুরু করে সাউথ আফ্রিকা। আগের দিনের সেঞ্চুরিকে বেশিদূর টেনে নিতে পারেননি শান মাসুদ। ফলো-অন পার করে গেলেও বাকিরা সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। এ দিন ব্যাটিংয়ে নেমে দশম ওভারে খুররাম শাহজাদকে হারায় পাকিস্তান। মার্কো জানসেনের বাড়তি বাউন্স পাওয়া বলে পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন ‘নাইটওয়াচম্যান’ শাহজাদ (৪৭ বলে ১৮)। ওই ওভারের শেষ বলে জীবন পান কামরান ঘুলাম। প্রথম স্লিপে থাকা ডেভিড বেডিংহাম তার ক্যাচটি মিস করেন।
এরপরেও অবশ্য বেশিদূর যেতে পারেননি ঘুলাম। ৪২ বলে ২৮ রান করে উইকেটে থিতু হয়ে বিদায় নেন তিনি। তার স্টাম্প ভাঙেন কাগিসো রাবাদা। মাসুদের সঙ্গে তার জুটিটি ছিল ৪৩ রানের। ঘুলাম ফিরলেও এগিয়ে যেতে থাকেন মাসুদ। সাউদ শাকিলের সঙ্গে ৫১ রানের জুটি গড়েন তিনি। এই জুটিও ভাঙেন রাবাদা। ৫১ বলে ২৩ রান করে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন শাকিল। এরপর কিউনা মাফাকার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে থামে মাসুদের ইনিংস। ১৭টি চারে এ দিন ১৪৫ রানের ইনিংস খেলেন মাসুদ।
চাপে পড়া দলকে টেনে তোলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সালমান আঘা। দুজনে গড়েন ৮৮ রানের জুটি। এই জুটিটি ভাঙেন কেশভ মহারাজ। তার বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে কাভারে ক্যাচ তুলে দেন ৪১ রান করা রিজওয়ান। ৯৫ বলে ৪৮ রান করা সালমানকেও ফেরান মহারাজ। তাকে সামনের পায়ে খেলতে গিয়ে এইডেন মার্করামকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন সালমান। তারপর আমের জামাল কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন। ৪৩ বলে ৩৪ রান আসে তার ব্যাটে।
ম্যাচের প্রথম দিনে চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়া ওপেনার সাইম আইয়ুব এ দিন ব্যাটিংয়ে নামেননি। সাউথ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে তিনটি করে উইকেট নেন রাবাদা এবং মহারাজ। দুটি উইকেট নেন জানসেন। রান তাড়ায় নেমে কোনো সমস্যায় পড়েনি সাউথ আফ্রিকা। পাকিস্তানের দেওয়া ৫৮ রানের লক্ষ্য ৪৩ বলে (৭.১ ওভার) ছুঁয়ে ফেলেছে তারা। ৩০ বলে দুটি ছক্কা এবং চারটি চারে ৪৪ রান করেন প্রথমবার ওপেনিংয়ে নামা বেডিংহাম। ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন মার্করাম।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply