বিপিএলের চলতি আসরের প্রথম তিন ম্যাচ ছিল রানবন্যার। তবে, চতুর্থ ম্যাচে দেখা গেল ভিন্নতা। রংপুরের ছুঁড়ে দেওয়া মাঝারি লক্ষ্যই তাড়া করতে পারল না সিলেট স্ট্রাইকার্স। রংপুর রাইডার্স জয় পেল ৩৪ রানের ব্যবধানে। এটি চলতি আসরে দলটির টানা দ্বিতীয় জয়।
আজ মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান তোলে রংপুর। জবাবে, ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২১ রান করে সিলেট। ৪ ওভারে ২৭ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন পেসার নাহিদ রানা।
১৫৬ রান তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারেই জর্জ মানসিকে হারায় সিলেট। কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে বোল্ড হয়ে যান এই স্কটিশ। তিনে নেমে আগ্রাসী খেলার তালে ছিলেন জাকির হাসান। তিন চারে ১৮ করে তার বিদায় নাহিদ রানার বলে। নাহিদ খানিক পর ফেরান পল স্টার্লিংকেও। তবে আরেক পাশে রান বাড়াচ্ছিলেন রনি। তিনি পরে সঙ্গী পান জাকের আলিকে। কিন্তু জাকের রানের চাকা সচল রাখা দূরে থাক, করে দিচ্ছিলেন ভীষণ মন্থর।
কিছু শটের চেষ্টা করেও ব্যাটে-বলে সংযোগ পাচ্ছিলেন না। তার শ্লথ গতির পথচলায় পুরো দল পড়ে যায় চাপে। এক পর্যায়ে ২৯ বলে খেলে জাকেরের রান ছিলো কেবল ১৫! আস্কিং রানরেট তখন দশের উপর, স্বাভাবিকভাবেই রনি বড়তি কিছুর চেষ্টা করে ফেরেন খুশদিল শাহর বলে বোল্ড হয়ে। ৩৬ বলে ৪১ করে থামেন তিনি। শেষমেশ ১২১ রানে থামে দলটি।
এর আগে, ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। ২৮ রান তুলতেই হারায় তিন উইকেট। ব্যর্থ হন দুই ওপেনার স্টিভেন টেইলর ও অ্যালেক্স হেলস। ১৫ বলে ১২ রান করে আল-আমিনের বলে জাকের আলীর ক্যাচে পরিণত হন টেইলর। অধিনায়ক আরিফুল হকের ক্যাচ বানিয়ে সাত বলে ছয় রান করা হেলসকে ফেরান তানজিম সাকিব।
ওয়ান ডাউনে সুবিধা করতে পারেননি সাইফ হাসান। চার রান করে আল-আমিনের বলে আউট হন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন ইফতিখার আহমেদ ও খুশদিল শাহ। দুজন মিলে স্কোরবোর্ডে জমা করেন ৪১ রান। ১৬ বলে ২১ রান করা খুশদিলকে সাজঘরে পাঠান সামিউল্লাহ শিনওয়ারি। এরপর দলের হাল ধরার দায়িত্ব নেন রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।
২৪ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৪১ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন সোহান। তাকে বিদায় করেন রিচি টপলি। একপ্রান্তে অপরাজিত থাকেন ইফতিখার। তার ৪২ বলে ৪৭ রান দলের সংগ্রহ দেড়শ ছাড়াতে সাহায্য করে। সিলেটের পক্ষে সাকিব ও আল-আমিন নেন দুটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট পান টপলি ও সামিউল্লাহ।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply