শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০১:১৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
শুধু মতিঝিল কার্যালয় নয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সব বিভাগীয় অফিসে সঞ্চয়পত্রসহ পাঁচ ধরনের সেবা কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ১৭৪ বাংলাদেশি আটক রাজধানীতে বিশেষ অভিযানে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ময়মনসিংহে সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘের হাঁটুরে কবিতার আসর অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জ-১ আসনে মাহবুবুর রহমানকে চুড়ান্ত মনোনয়নে ধানের শীষের প্রাথী করার দাবিতে গণমিছিল ভারতকে সুপার ওভারে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ বন্দর চুক্তিই একটা বড় দুর্নীতি : মোমিন মেহেদী অবিলম্বে শ্রমিকদের পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে, শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ভোলা বরিশাল সেতুর দাবিতে ছাত্র জনতার পথযাত্রা সংক্ষিপ্ত অবস্থানে দ্বীপজেলা ভোলা নাগরিক ঐক্য ফোরামের সংহতি প্রকাশ সনাতন ধর্ম নিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য হারুনর রশীদ- কর্তৃক কটূক্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

আমার উত্তরাধিকারী কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৩
  • ২৬৮ Time View

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী মনে করেন, প্রধান বিচারপতি হিসেবে তার স্থলাভিষিক্ত যিনি হবেন, তাকে কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে। তবে তিনি (নতুন প্রধান বিচারপতি) সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বিচার বিভাগকে আরও গতিশীল করবেন।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে বিদায়ী সংবর্ধনায় দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার মনে হয় আমার উত্তরাধিকারী গুরুতর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবেন এবং আমি এটাও মনে করি মহান আল্লাহতায়ালা তাকে সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার অধিকারী করবেন এবং বিচার বিভাগকে আরো গতিশীল বিচার বিভাগে পরিণত করবেন।

তিনি আরও বলেন, আমার কাছে মনে হচ্ছে আমি আমার বিচার বিভাগ তার কাছেই হস্তান্তর করতে যাচ্ছি যিনি এই বিভাগকে আরও গতিশীল করার জন্য ক্ষমতাবান এবং মনোযোগী হবেন।

বিচার বিভাগকে প্রজাতন্ত্রের হৃদপিণ্ড উল্লেখ করে হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, রাষ্ট্রের বিচার বিভাগের দক্ষতার চেয়ে শ্রেষ্ঠত্বের আর কোনো উপযুক্ত পরীক্ষা নেই। একটি জাতির জনগণ শাসন বিভাগ বা আইন বিভাগের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলতে পারে কিন্তু বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা হারালে সে জাতিকে খারাপ দিনটির জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আইনের নিরঙ্কুশ আধিপত্য বা প্রাধান্য কার্যকর করার দায়িত্ব বিচার বিভাগের। বিচার বিভাগ যদি আইনের নিরপেক্ষ প্রয়োগ করতে ব্যর্থ বা পিছপা হয় তাহলে রাষ্ট্র এবং নাগরিক ক্ষতিগ্রস্থ হতে বাধ্য।

তিনি আরও বলেন,  বিচার বিভাগ সংবিধানের আধিপত্য রক্ষার পাশাপাশি জনগণের মৌলিক অধিকারের রক্ষক। সত্যিকারের অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রের বিকাশ, আইনের শাসন সংরক্ষণ এবং সমাজের দুর্বল অংশের অধিকার এবং সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অপরিহার্য্য। সুপ্রিম কোর্ট বিচার প্রশাসনের সর্বোচ্চ আদালত আর বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এর সর্বোচ্চত্বের উপর নির্ভর করে। সাংবিধানিক বিধান দিয়ে সর্ব প্রকার সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক প্রভাব থেকে বিচার বিভাগকে মজবুত দেওয়াল দিয়ে রক্ষা করার দায়িত্ব বিচারকদের, আইনজীবীদের এবং রাষ্ট্রের প্রত্যেক দায়িত্বশীল নাগরিকের। আমরা, আপনারা, সবাই সে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে সর্বনাশা দিনের জন্য প্রতিটি নাগরিকের অপেক্ষা করতে হবে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, এখানে আমার ৪৩ বছরের পদচারণা আজ থেকে স্মৃতি হয়ে থাকবে। আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের মহাশক্তিতে বিশ্বাস করি, তিনি এই পবিত্র বিচারালয়, বিজ্ঞ বিচারক, বিজ্ঞ আইনজীবী, বিচারালয়ের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের রক্ষা ও সঠিক পথে চলার তওফিক দান করবেন।

তিনি বলেন, আমার কর্মকালীন সময়ে সম্মানিত বিচারক, বিজ্ঞ আইনজীবী, আইন, বিচার এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, অর্থ, জনপ্রশাসন, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়সহ এবং সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির প্রত্যেক কর্মকর্তা এবং কর্মচারী এবং সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা যে সহায়তা দিয়েছেন তা আমি কৃতজ্ঞতার সাথে সারাজীবন মনে রাখব।

উল্লেখ্য, অবসরে যাচ্ছেন দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি অবসরে যাবেন। কিন্তু সে সময় সুপ্রিম কোর্টে অবকাশকালীন ছুটি থাকায় আজ (বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট) তার বিচারিক জীবনের শেষ কর্মদিবস।

হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর শপথগ্রহণের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতি পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২২তম প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। টানা ২০ মাস বিচারিক দায়িত্ব পালন করেন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। 

তার ৬৭ বছর পূর্ণ হবে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর। তাই সংবিধান অনুসারে ওই দিন তিনি অবসরে যাবেন।

বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ১৯৫৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।

পড়ালেখা শেষে  ১৯৮১ সালের ২১ আগস্ট জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন। তিনি ১৯৮৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট এবং ১৯৯৯ সালের ২৭ মে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।

হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, খুলনা সিটি করপোরেশন, কুষ্টিয়া পৌরসভা, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির আইন উপদেষ্টা ছিলেন। বাংলাদেশের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৯ সালের ২৫ মার্চ হাইকোর্ট বিভাগের এবং ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ আপিল বিভাগে নিয়োগ পান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এ ছাড়া তিনি ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল থেকে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS